মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম জনকল্যাণকারী প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। মহিলাদের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এই প্রকল্প। বাংলার সব মহিলাই যাতে ‘হাত খরচের’ টাকা পেতে পারেন সেই জন্য ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এ বছর বাংলার কত মহিলা এই সরকারি ভাতা পাবেন, তার হিসেব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ বছর ভাতা বাড়ার পাশাপাশি উপভোক্তাও বেড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বেড়ে হল দুই কোটি ১৩ লক্ষ’। ২৪ লক্ষ ৫০ হাজার রয়েছেন একশো দিনের কাজে জব কার্ড হোল্ডার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রকল্পের ফলে প্রতিমাসেই ৫০০ টাকা করে পাচ্ছেন রাজ্যের মহিলারা। সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকছে এই টাকা। রাজ্যের প্রায় ২ কোটি মহিলা এই প্রকল্পের জন্য নাম লিখিয়েছিলেন। এবার সেই সংখ্যা আরও বেড়েছে।
কয়েকদিন আগেই এ বছরের রাজ্য বাজেটে এবার এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বিরাট ঘোষণা করেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ভাতা ৫০০ টাকা বাড়ানো হয়। যার ফলে ১০০০ টাকা করে পাবেন মহিলারা। অন্যদিকে জনজাতি মহিলাদের জন্য ভাতা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২০০ টাকা। আগামী মে মাস থেকে নতুন বাড়ানো ভাতা পাবেন মহিলারা।
সম্প্রতি রাজ্যে আরেক দফা ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প হয়েছে। এই ক্যাম্পেও অনেকেই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পর জন্য আবেদন করেছেন। এই সঙ্গেই বার্ধক্য ভাতার জন্যও আবেদন গ্রহণ করা হয়। তবে এখনও হাতে টাকা পাননি তাঁরা। দুর্গাপূজার আগেই তাঁদের জন্য সুখবর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি জানিয়েছেন খুব তাড়াতাড়ি তাঁদের অ্যাকাউন্টেও টাকা ঢুকবে।