যোগীরাজ্যে বিবাহ বিভ্রাট। সরকারি প্রকল্পের টাকা হাতাতে ভুয়ো গণবিবাহের আয়োজন করার অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের দুই সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, টাকা দিয়ে ভুয়ো পাত্রপাত্রীর ব্যবস্থা করেছিলেন অভিযুক্তরা। সেই অনুষ্ঠানের ভিডিও ভাইরাল হতেই প্রকাশ্যে এসেছে বিয়ে দুর্নীতির খবর।
গত ২৫ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের বালিয়াতে একটি গণবিবাহের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয় বিজেপি বিধায়ক কেতকী সিংকে। কিন্তু সেখানে দেখা যায়, মহিলারা কনে সেজে নিজের গলাতেই মালা পরছেন। অধিকাংশ বরেরই মুখ ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। গণবিবাহের অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদেরও বিয়েতে বসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিয়ে করলে ৫০০ থেকে দুহাজার টাকা পুরস্কারের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন আয়োজকরা। এই গণবিবাহের ভিডিও হু হু করে ভাইরাল হয়ে যায়।
সেখান থেকেই প্রশ্ন ওঠে, কেন এমনভাবে ভুয়ো গণবিবাহের আয়োজন করতে হল? আসলে গণবিবাহের জন্য বিশেষ প্রকল্প রয়েছে উত্তরপ্রদেশে। প্রতিটি বিয়ের জন্য ৫১ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার। তার মধ্যে ৩৫ হাজার টাকা দেওয়া হয় কনের হাতে। বাকি ১০ হাজার টাকায় বিয়ের যাবতীয় সরঞ্জাম কেনা ও ৬ হাজার টাকায় বিয়ের সমস্ত নিয়ম সম্পন্ন করার জন্য দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে অনুমান, এই টাকা হাতানোর জন্যই ভুয়ো গণবিবাহের আয়োজন। ৫৬৮ জনের বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল, তার মধ্যে ১৯০ জনই ভুয়ো বলে সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, দুই সন্তানের মা হয়েও এই গণবিবাহে অংশ নিয়েছিলেন এক মহিলা। অনেক বিবাহিত দম্পতিও ফের নতুন করে বিয়ে করেন। তার পরেই আয়োজক ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছেন দুই সরকারি আধিকারিকও। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তবে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সরকারি প্রকল্পের টাকা এখনও তুলে দেওয়া হয়নি কারোওর হাতে।