ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই জাতীয় রাজনীতিতে বাড়ছে দলগুলির তৎপরতা ততই বাড়ছে৷ বিরোধী জোটের মধ্যে যাতে আলাদা করে চাপে না পড়তে হয়, সেই দিকে নজর রাখতে এ বার নতুন পরিকল্পনা নিল কংগ্রেস৷ দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের আগেই একটি কমিটি গঠন করল হাত শিবির৷
কংগ্রেসের এই কমিটির নাম দেওয়া হয়েছে, ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স কমিটি৷ পাঁচ সদস্যের এই কমিটি মূলত বিভিন্ন ক্ষেত্রে জোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলেই শোনা গিয়েছে৷ কংগ্রেসের এই কমিটিতে আছে, অশোক গেহলট, ভূপেশ বাঘেল, মুকুল ওয়াসনিক, সলমন খুরশিদ ও মোহন প্রকাশ৷ আসন সমঝোতা নিয়ে জোটের এই বিভিন্ন সঙ্গীর থেকে চাপ আসবেই, এ কথা বলাই বাহুল্য৷ সেই কারণে, যাতে সাংগঠনিক দৃঢ়তার সঙ্গে এই আসন সমঝোতা বিষয়ক আলোচনা সেরে ফেল যায়, যাতে কংগ্রেসের রাজনৈতিক স্বার্থে কোনও আঘাত না লাগে, সেই কারণেই আগেভাগে এই কমিটি তৈরি করে বিষয়টিকে আরও বেশি করে নিয়মমাফিক করে তুলছে চাইছে কংগ্রেস, বিশেষজ্ঞদের মত এমনই৷
এ রাজ্যের ক্ষেত্রে যদি তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হয়, তা হলে আসন সমঝোতার ধরন কেমন হবে? বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের সমঝোতা থাকবে? নাকি ভেঙে যাবে?
শুধু তাই নয়, দিল্লি, পঞ্জাবে আপ, উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টি, দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে একাধিক আঞ্চলিক দল নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেই৷ আর কংগ্রেস সেই লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়লে জাতীয় রাজনীতিতে আরও কোনঠাসা হয়ে পড়বে৷ তাই আসন রফার গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে কংগ্রেসকে জোরের সঙ্গে টিকে থাকতেই হবে৷ তার জন্যই এই গেম প্ল্যান, বলছেন অনেকে৷