গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের ওপর হামলা চালায় প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। গাজা থেকে মিনিট কুড়ির মধ্যে ছোঁড়া হয় ৫ হাজার রকেট। এর পরই জঙ্গি গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইজরায়েল সরকার। সেই যুদ্ধ ইতিমধ্যেই ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। গাজার শরণার্থী শিবিরগুলি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইজরায়েল। বিমানহানায় সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এবার নিশানা গাজার হাসপাতাল। জখমরাও নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে চিকিৎসা পাচ্ছে না। গাজার সবচেয়ে বড় দুই হাসপাতালে পরিষেবা ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। আল শিফা হাসপাতালও আর সুরক্ষিত নেই। এই হাসপাতালে চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। তারা জানাচ্ছে, হাসপাতাল ঘিরে ফেলেছে ইজরায়েলি সেনার যুদ্ধট্যাঙ্ক। পণবন্দি করা হয়েছে হাজার হাজার রোগী ও চিকিৎসককে।
রবিবার থেকেই আল শিফা হাসপাতাল চত্বরে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ শুরু হয়েছে। হাসপাতালের আশপাশে বোমা ফেলছে ইজরায়েলি বায়ুসেনা। হাসপাতাল ঘিরে ফেলেছে ইজরায়েলের যুদ্ধট্যাঙ্ক। হু প্রধান টেড্রস অ্যাডহানম ঘেব্রেইসাস তাঁর এক্স-হ্যান্ডেলে (টুইটার) পোস্ট করেছেন, গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতালের পরিস্থিতি ভয়াবহ ও উদ্বেগজনক। হাসপাতালে বার বার হামলা চালানো হচ্ছে। যাঁরাই হাসপাতাল থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, তাঁদের গুলি করা হয়েছে। বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যু হচ্ছে জখমদের। তাদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। হু জানাচ্ছে, আল শিফা হাসপাতালে বহু মানুষের চিকিৎসা চলছিল। বাস্তহারারাও হাসপাতালকে নিরাপদ ভেবে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু হাসপাতালকেই এখন নিশানা করছে ইজরায়েলি বাহিনী। আল-শিফা হাসপাতালের প্রধান শল্যচিকিৎসক মারওয়ান আবুসাদা বলেছেন, হাসপাতালের চারপাশে গোলাগুলি ও বোমা বর্ষিত হচ্ছে। কেউ বের হতে বা ঢুকতে পারছে না। যারাই বের হওয়ার চেষ্টা করেছে, তারাই গুলিবিদ্ধ হয়েছে। কেউ মারা গেছে, কেউ আহত হয়েছে।