দীপাবলির দিন উত্তরাখণ্ডে ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। রবিবার ভোর রাতে উত্তরাখণ্ডের জাতীয় সড়কের উপরে একটি নির্মীয়মান সুরঙ্গের মুখ ধসে পড়ে। ভিতরে আটকে যান কমপক্ষে ৪০ জন শ্রমিক। রবিবার সকাল থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়ে যায়। তবে তারপর ৩০ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও এখনও উত্তরকাশীর সেই সুরঙ্গে আটকে শ্রমিকরা। রবিবার দিনভর উদ্ধারকাজের পর সোমবার সকালেও শ্রমিকদের বের করে আনার কাজ চলছে। সুড়ঙ্গের ভিতরে পাইপ দিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে।
উত্তরাখণ্ডের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মী দুর্গেশ রাঠোদি জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তুপের মধ্যে দিয়েই প্রতিনিয়ত অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। পাহাড় থেকে নতুন করে ধস নামায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। সুড়ঙ্গের একটি অংশ ভেঙে পড়া পাথর, সিমেন্টের চাঁইয়ে সম্পূর্ণ আটকে রয়েছে। আর ওই অংশেই শ্রমিকেরা আটকে আছেন বলে আশঙ্কা উদ্ধারকারী দলের।
স্টেট ডিসাসটার রেসপন্স ফোর্স (এসডিআরএফ)-এর তরফে জানানো হয়েছে, আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, এখনও পর্যন্ত কোনও সাড়া-শব্দ পাওয়া যায়নি। পুলিশ এবং উদ্ধারকারী দল সূত্রে জানা গিয়েছে, টানেলের মুখ পরিষ্কার করতে গেলে ২০০ মিটার পর্যন্ত আগে কংক্রিটের স্ল্যাব সরাতে হবে। আসলে সুরঙ্গের মুখ পাথরে আটকে গিয়েছে। কিন্তু সেই পাথর সরাতে গেলে ফের উপর থেকে পাথর গড়িয়ে পড়ছে। ফলে রাতভর উদ্ধারকাজ চললেও এখনও শ্রমিককদের বের করে আনা সম্ভব হয়নি।