গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল শীর্ষ আদালত। এবার ‘যৌনকর্মী’ শব্দটি এবার বাতিলের খাতায় রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল তারা। লিঙ্গনির্ভর শব্দের ব্যবহার এড়াতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগেই সুপ্রিম কোর্টের তরফে লিঙ্গভিত্তিক শব্দ এড়িয়ে সরকারি ক্ষেত্রে ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। এবার সেই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হল ‘যৌনকর্মী’ শব্দটিও। শীর্ষ আদালতের তরফে শব্দ ব্যবহার বিধির যে হ্যান্ডবুক প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে যৌনকর্মীর বদলে ‘ট্র্যাফিকড ভিকটিম’ বা ‘পাচারের শিকার বা রক্ষাপ্রাপ্ত ব্যক্তি’, ‘বাণিজ্যিকভাবে যৌন পরিষেবা প্রদানকারী’ কিংবা ‘যৌন নিগ্রহের শিকার’ বা ‘যৌন হেনস্তায় বাধ্য হওয়া ব্যক্তি’ হিসাবে উল্লেখ করতে বলেছে আদালত।
প্রসঙ্গত, মানব পাচার প্রতিরোধে কাজ করা একাধিক অসরকারি সংগঠনের তরফে দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে এই অভিমত জানিয়েছে কোর্ট। আবেদনে বলা হয়, ‘যৌনকর্মী’ বা ‘গণিকা’ বলতে প্রধানত একটি লিঙ্গের মানুষকেই বোঝানো হয়ে থাকে। সাধারণ মানুষও তা-ই বিশ্বাস করেন। তারই বিরুদ্ধে আর্জি জানায় সংগঠনগুলি। এবার তাতেই সায় দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের হ্যান্ডবুকে ‘যৌনকর্মী’ শব্দ পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শীর্ষ আদালতের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তারা জানাচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তে যৌন কর্মীদের প্রতি অবজ্ঞাসূচক আচরণ কমবে। সেই সঙ্গে লিঙ্গবৈষম্যও কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।