মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী রইল ঝাড়খণ্ডের কোডার্মা অঞ্চল। শনিবার দুপুরে ট্রেন যাত্রার মাঝপথেই ছিঁড়ে পড়ল ওভারহেডের তার! দুর্ঘটনা এড়াতে আপৎকালীন ব্রেক চেপে ট্রেনটি দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন চালক। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না। আচমকা ব্রেক কষায় মারাত্মক ঝাঁকুনি সহ্য করতে পারেননি কয়েকজন যাত্রী। ট্রেনেই প্রাণ হারালেন দুজন। এদিন পুরী থেকে নয়াদিল্লী যাচ্ছিল পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস। দুপুর ১২টা নাগাদ ঝাড়খণ্ডের কোডার্মা রেলস্টেশন ধরে যাচ্ছিল ট্রেনটি। আচমকাই ওভারহেডের তার ছিঁড়ে লোহার স্তম্ভ ট্রেনের উপর হেনে পড়ে। বিপদ এড়াতে তখনই আপৎকালীন ব্রেক কষেন চালক। সেই ট্রেনের গতি ছিল ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। ফলে তীব্র ঝাঁকুনি দিয়ে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে যায়।
স্বাভাবিকভাবেই ব্রেক চাপতে ট্রেনে মারাত্মক ঝাঁকুনি অনুভব হয় যাত্রীদের। ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। মনে করা হচ্ছে, ঝাঁকুনির চোটে হৃদরোগে আক্রান্ত হন দুই যাত্রী। দুর্ঘটনার কথা মেনে নিয়েছে পূর্ব-মধ্য রেল। এ প্রসঙ্গে ধানবাদ রেলওয়ে ডিভিশনের সিনিয়র ডিভিশনার কমার্শিয়াল ম্যানেজার অমরেশ কুমার বলেন, “ট্রেনটিকে থামানোর উদ্দেশে আপৎকালীন ব্রেক কষা হয়েছিল। ঝাঁকুনিতে দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়।” এই দুর্ঘটনার জেরে ওই লাইনে প্রায় ৪ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। রেললাইনে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। যার ফলে যাত্রীসুরক্ষা নিয়ে ফের দেখা দিয়েছে সংশয়। প্রশ্নের মুখে পড়েছে ভারতীয় রেল।