কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক মাস। কিন্তু মণিপুরে গোষ্ঠী সংঘর্ষের আগুন নেভার লক্ষণ নেই এখনও। বিরোধীরা বার বার নিশানা করা সত্ত্বেও অশান্তি শুরু হওয়ার পরে এত দিনেও উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্যে পা রাখেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ বার মণিপুরে এই সংঘর্ষের পিছনে বিদেশি শক্তির হাত বা উস্কানি রয়েছে বলে মন্তব্য করলেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। কুকিদের সংগঠনের যদিও পাল্টা অভিযোগ, মণিপুরে অশান্তির কারণ কেন্দ্র ও রাজ্যের বিজেপি সরকারই।
শুধু তা-ই নয়, মঙ্গলবার ভাগবতের নিশানায় ছিলেন ‘সাংস্কৃতিক’ মার্ক্সবাদীরাও। তাঁদের দেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতির জন্য ধ্বংসাত্মক শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেন সঙ্ঘপ্রধান। যদিও দিন পাঁচেক আগেই নাগপুরে প্রয়াত সিপিআই নেতা এ বি বর্ধনের মূর্তিতে মালা দিয়েছেন তিনি। সঙ্ঘপ্রধানদের মধ্যে তিনিই প্রথম, যিনি আদর্শগত ভাবে একেবারে বিপরীত মেরুতে থাকা বামপন্থী কোনও নেতাকে শ্রদ্ধা জানান। তখন রাজনৈতিক মহলের অবশ্য বক্তব্য ছিল, সংখ্যালঘু-সহ দেশের সমস্ত মানুষকে নিজেদের দিকে টানার যে চেষ্টা সম্প্রতি সঙ্ঘ শুরু করেছে, এ তারই অঙ্গ।
প্রতি বছর বিজয়া দশমীর দিনে নাগপুর থেকে সঙ্ঘ পরিবারের কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন সরসঙ্ঘচালক। মূলত আগামী এক বছর দল কোন পথে চলবে, কোন বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দেবে, তা ঠিক করে দেন আরএসএস প্রধান। আগামী বছর দেশে লোকসভা নির্বাচন। তাই স্বাভাবিক ভাবেই এ বছর নিজের বক্তব্যে আসন্ন লোকসভা ভোটের প্রসঙ্গ টেনে ভোটারদের নিজস্ব বিচার-বিবেচনা প্রয়োগের আহ্বান জানান সঙ্ঘ প্রধান। তিনি বলেন, ‘আবেগকে উস্কে দিয়ে ভোট পাওয়ার প্রবণতা কাম্য নয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তা হয়ে চলেছে। বিভেদকামী শক্তি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।’ যে দল ভাল কাজ করেছে, তাকে ভোট দেওয়ার জন্যই সওয়াল করেন ভাগবত।