মানবিকতার অনন্য পরিচয় রাখল পুশিশ। নবমীর রাতে অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে নিয়ে বিপদে পড়েছিলেন পান্ডুয়ার জায়ের দ্বারবাসিনীর কাওসার আলির পরিবার। প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকা মেয়েকে নিয়ে রাতেই ভাড়া করা গাড়িতে করে চুঁচূড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালের দিকে রওনা দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্ত ভিড়ের মাঝে আচমকা স্টার্ট বন্ধ হয়ে গেল গাড়ির। ঠিক তখনই মুশকিল আসান হয়ে উপস্থিত হলেন রাজপথের ডিউটিতে থাকা পুলিশ কর্মীরা। খবর পেয়ে নিজের গাড়িতে করে ওই অসহায় অন্তঃসত্ত্বাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিলেন স্থানীয় ফাঁড়ির ওসি। ঘটনাটি ব্যান্ডেলের।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অন্তঃসত্ত্বা তুহিনা পারভীন। তাঁর বাবা কাওসার আলির উপলব্ধি, “সব পুলিশ খারাপ নয়, ওরা (পুলিশ কর্মীরা) এগিয়ে এসে সাহায্য না করলে মেয়েটাকে তো হাসপাতালেই নিয়ে যেতে পারতাম না।” নবমীর রাতের ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বারে বারে শিউড়ে উঠছিলেন বৃদ্ধ। কাওসার জানান, প্রসব যন্ত্রণা ওঠায় তড়িঘড়ি গাড়ি ভাড়া করে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হই। বারেবারে গাড়ির স্টার্ট বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। এদিকে রাস্তায় মানুষের ঠাকুর দেখার ভিড়। কীভাবে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছব, কুল কিনারা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তখনই ডিউটিতে থাকা পুলিশ কর্মীরা এগিয়ে আসেন।” তারপরের ঘটনা যেন সিনেমার চিত্রনাট্য। নাওয়া খাওয়া ভুলে ঠায় পুজোর ডিউটিতে থাকা উর্দিধারীরা ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। অদূরেই ছিলেন উইনার্স বাহিনীর ইন্সপেক্টর বর্ণালী গঙ্গোপাধ্যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছলেন ব্যান্ডেল ফাঁড়ির ওসি অতনু মাঝি। পুলিশেরই একটি দল ততক্ষণে রাস্তার একা্ংশের ভিড় খালি করতে ব্যস্ত। ওসির গাড়িতে করেই ওই মহিলাকে পৌঁছে দেওয়া হল হাসপাতালে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগিও এমন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।