আজ পঞ্চমী। ইতিমধ্যেই শহরের পুজোমণ্ডপগুলিতে দেখা গিয়েছে মানুষের ঢল। ক্রমশ বাড়ছে ভিড়। কলকাতার বড় পুজোগুলিতে কোন মণ্ডপে ঠাকুর দেখতে গেলে কত ক্ষণ লাইন দিতে হবে, কোথায় কত ভিড় হয়েছে, তা জানিয়ে দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। তাদের ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে পুজোমণ্ডপের পরিস্থিতির খবরাখবর। আগামী এক সপ্তাহ এই তথ্য কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজে ‘লাইভ’ পাওয়া যাবে। ফলে ঠাকুর দেখতে বেরোনোর আগেই দর্শনার্থীরা ভিড় সম্পর্কে সচেতন হতে পারবেন। সেই অনুযায়ী কখন কোন মণ্ডপে যাবেন, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন তাঁরা। কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজে বুধবার অর্থাৎ চতুর্থীর রাত থেকে এই সরাসরি সম্প্রচার শুরু হয়েছে। কলকাতার বড় বড় ১৬ থেকে ১৭টি পুজোর তালিকা সেখানে দেওয়া হয়েছে। প্রতি পুজোর নামের পাশে থাকছে অপেক্ষার সময়। কত ক্ষণ আগে ওই সময়ের তথ্য আপডেট করা হয়েছে, তা নীচে উল্লিখিত থাকছে।
প্রসঙ্গত, আহিরিটোলা সর্বজনীন, বাবু বাগান, বোসপুকুর তালবাগান, চেতলা অগ্রণী, কলেজ স্কোয়ার, দেশপ্রিয় পার্ক, একডালিয়া এভারগ্রিন, কুমোরটুলি পার্ক, মুদিয়ালি ক্লাব, নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘ, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, শিবমন্দির, সিংহী পার্ক, সুরুচি সঙ্ঘ, টালা প্রত্যয়, ত্রিধারা সম্মিলনী আপাতত কলকাতা পুলিশের তালিকায় রয়েছে। সরাসরি সম্প্রচারে মাঝেমধ্যে সময় এবং পুজো কমিটির নাম বদলে যাচ্ছে। বুধবার রাত ৯টা ১১ মিনিটের তালিকা অনুযায়ী, আহিরিটোলায় এক মিনিট, বাবু বাগানে তিন মিনিট, বোসপুকুর তালবাগানে চার মিনিট, চেতলা অগ্রনীতে নয় মিনিট, কলেজ স্কোয়ারে নয় মিনিট, দেশপ্রিয় পার্কে ১০ মিনিট, একডালিয়া এভারগ্রিনে ছয় মিনিট, কুমোরটুলি পার্কে ছয় মিনিট, মুদিয়ালি ক্লাবে এক মিনিট, নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘে দুই মিনিট, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে ১৮ মিনিট, শিবমন্দিরে ছয় মিনিট, সিংহী পার্কে দুই মিনিট, সুরুচি সঙ্ঘে ১৬ মিনিট, টালা প্রত্যয়ে ১৫ মিনিট এবং ত্রিধারা সম্মিলনী ছয় মিনিট লাইন দিয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে দর্শনার্থীদের। ভিড় অনুযায়ী এই সময়ের হিসাব প্রতি মুহূর্তে বদলে যাচ্ছে। পুজোর ভিড় এ বছর চতুর্থীর আগেই নজির গড়ে ফেলেছে। মহালয়ার দিন থেকেই ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছেন মানুষ। পুজোর উন্মাদনাও এ বছর লক্ষ্যণীয়। জনজোয়ার নিয়ন্ত্রণ করতে এখন থেকেই কার্যত ঘুম ছুটেছে পুলিশের। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীতে ভিড়ের চাপ আরও বাড়তে পারে। তাই এবছর দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে এমন উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা পুলিশ।