প্রায় দোরগোড়ায় শারদোৎসব। আগামীকাল থেকেই শুরু দেবীপক্ষ। কয়েকদিন পরেই শুরু হয়ে যাবে পুজো। তারপরে চলবে বিসর্জন পর্ব। তাই তার আগে কলকাতার ঘাটগুলি কী অবস্থা রয়েছে, সর্বোপরি বিসর্জন যাতে নির্বিঘ্নে হতে পারে তার জন্য বিভিন্ন ঘাট পরিদর্শন করলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ তথা বিধায়ক দেবাশিস কুমার। এদিন তিনি কলকাতার বেশ কয়েকটি ঘাট পরিদর্শন করেন। তার সঙ্গে ছিলেন পুরসভার পার্কিং বিভাগের ডিজি সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। এদিন শহর কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ ঘাট পরিদর্শনের কাজ শুরু করেন দেবাশিস কুমার। ঘাটগুলি রক্ষণাবেক্ষণের কতটা প্রয়োজন রয়েছে, তা খতিয়ে দেখেন। অবিলম্বে ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে যাতে এই রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষ করা যায় এই বিষয়টি নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়ার লক্ষ্যেই এদিন ঘাটগুলি পরিদর্শন করেন তিনি। এছাড়া দূষণমুক্ত ভাবে, দুর্ঘটনা এড়িয়ে যাতে নির্বিঘ্নে কলকাতার প্রত্যেকটি ঘাটে বিসর্জন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায় সেবিষয়গুলি খতিয়ে দেখেন। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও দূষণমুক্তভাবে বিসর্জন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাইছে কলকাতা পুরসভা।
এপ্রসঙ্গে মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, “আমাদের নতুন করে কোনও পরিকল্পনা নেই। আমাদের মূল লক্ষ্য থাকে যাতে বিসর্জনজনিত কারণে গঙ্গার দূষণ বৃদ্ধি না পায় এবং নির্বিঘ্নে যাতে বিসর্জন হতে পারে সেই কারণে প্রতিবারের মতো এবারও রুটিন পরিদর্শন করা হল। যেখানে রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন সেখানে কাজ চলছে। মাটি পড়ে থাকলে তুলে দেওয়া হচ্ছে।” এছাড়াও বিসর্জনের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে আলোর ব্যবস্থা থাকবে। কাঠামো তোলার লোক থাকবে এবং স্বেচ্ছাসেবক করে থাকবে বলে তিনি জানান। দেবাশিস কুমার বলেন, “প্রতিবছর যে যে ব্যবস্থা থাকে এবারও সেই ব্যবস্থা থাকবে।” পাশাপাশি তিনি জানান, এ বছর প্রতিমা বিসর্জনের সংখ্যা খুব একটা বাড়ছে না। তবে গতবারের মতো এবারও কলকাতার বিভিন্ন ঘাটগুলিতে ৩ হাজারের কাছাকাছি প্রতিমা বিসর্জন হবে। এর পাশাপাশি কোন অপ্রীতিকর ঘটনা বা দুর্ঘটনা রুখতে ঘাটগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে মোতায়েন থাকবে কলকাতা পুলিশ এবং রিভার ট্রাফিক পুলিশ। সুরক্ষাবিধি খতিয়ে দেখতে গতকালই কলকাতার নগরপাল শহরের বিভিন্ন মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন।