আগামীকাল মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে সূচনা হচ্ছে দেবীপক্ষের। ইতিমধ্যেই প্রায় অন্তিম লগ্নে পুজোর প্রস্তুতি। ইতিমধ্যেই প্যান্ডেল থেকে প্রতিমা সমস্ত কিছুর কাজই প্রায় শেষের মুখে। রকমারি সাজে সেজে উঠছে পুজোমণ্ডপগুলি। কল্যাণীর গয়েশপুর মালঞ্চ সাংস্কৃতিক সংস্থা এবছর পুজোয় নিল এক অভিনব উদ্যোগ। প্রতিমায় থাকছে নতুন চমক। মালঞ্চ সাংস্কৃতিক সংস্থার ৪৭ তম বছরের পুজোর গৃহনির্মাণের সামগ্রী দিয়ে দুর্গাপ্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে। অর্থাৎ মানুষের বাড়ি বানানোর সময় যেই সমস্ত উপাদান যেমন ইট, বালি, সুড়কি, চুন, সিমেন্ট, টাইলস, ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়ে থাকে, সেই সমস্ত উপাদান দিয়েই তৈরি করা হচ্ছে এই মূর্তি।
উল্লেখ্য, বেশ কয়েক মাস ধরে এই প্রতিমা তৈরি করছেন গয়েশপুরের ভাস্কর্য শিল্পী তপন পাল। তিনি জানান, “একটি বাস্তবিক কঠিন পদার্থ সেখান থেকে তার উত্তরণ ঘটানো হচ্ছে শৈল্পিক নমনীয় অবয়বের মধ্যে। অর্থাৎ গৃহ নির্মাণের সামগ্রী ইট, বালি, চুন, সিমেন্টের মত কঠিন পদার্থ দিয়েও যে একটি শৈল্পিক অবয়বের রূপ দেওয়া যায় সেই প্রচেষ্টাই আমরা করেছি। শুধু তাই নয় যেই সমস্ত রং ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলিও একদম প্রাকৃতিক উপাদানের। বাড়তি কোনও কৃত্রিম রং ব্যবহার করা হয়নি এই মূর্তি বানানোর সময়।” ইতিমধ্যেই এই মূর্তি তৈরি করা প্রায় শেষের মুখে। গৃহনির্মাণের মতো কঠিন বস্তু দিয়ে মা দুর্গার মূর্তি সকলকেই মুগ্ধ করবে বলেই আশাবাদী পুজো কর্তৃপক্ষ।