আগমনীর সুরে ইতিমধ্যেই ভরে উঠেছে আকাশ-বাতাস। শনিবার মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে সূচনা হবে দেবীপক্ষের। উত্তর থেকে দক্ষিণ, বারোয়ারি কিংবা বনেদি বাড়ি, সর্বত্র দুর্গা পুজোর প্রস্তুতি চরমে। কলকাতা শহরে বেশ কিছু পুজো রয়েছে যার সাথে জড়িয়ে রয়েছে ঐতিহ্য ও ইতিহাস। এমনই একটি পুজো হল কুমারটুলি সর্বজনীন। পুজোটিকে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর পুজো বলেও অভিহিত করা যেতে পারে। ১৯৩৮ সালে কুমারটুলি সর্বজনীনের সভাপতি হন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। সে বছর নেতাজীর ভাবনায় নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল এই পুজোর। সেই থেকে আজও এই পুজো মণ্ডপ স্মরণ করে চলেছে সুভাষচন্দ্র বসুর ভাবনা। যে বছর নেতাজি সভাপতি হন সেই বছর পুজো শুরুর আগে পুড়ে যায় প্রতিমা। গোপেশ্বর পাল পঞ্চমীর রাতে মাত্র এক দিনেই তৈরি করেন নতুন প্রতিমা। সেই বছর এক চালা থেকে পাঁচ চালার হয়ে যায় কুমোরটুলির দুর্গাপুজোর প্রতিমা।
উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রযুক্তির আগ্রাসন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিশ্বজুড়ে। কুমারটুলি সার্বজনীনের থিম ‘লড়াই’ এবার সেই ভাবনাতেই। কুমোরটুরি সর্বজনীন ইতিহাস কিন্তু বেশ দীর্ঘ। কুমোরটুলি অঞ্চল প্রাচীনকাল থেকেই মূর্তি নির্মাণের জন্য বিখ্যাত। তবে ১৯৩৩ সালে প্রথমবারের জন্য অনুষ্ঠিত হয় কুমোরটুলির নিজস্ব দুর্গা পুজো। সেই সময় কুমোরটুলির প্রতিমা নির্মাণ করতেন বিখ্যাত মৃৎশিল্পী গোপেশ্বর পাল। এরপর ১৯৩৮ সালে কুমোরটুলি সর্বজনীনের সভাপতির পদে বসানো হয় নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুকে। আজও এই পুজো বজায় রেখেছে নিজেদের সেই ঐতিহ্য। তাই এখনও এই পুজো দেখতে ভিড় জমান বহু মানুষ।