দেশের নাম ইন্ডিয়ার পরিবর্তে পাকাপাকি ভাবে ভারত করে দেওয়ার যে চেষ্টা শুরু হয়েছে তা নিয়ে মঙ্গলবার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুনলাম ইন্ডিয়া নাম বদলে দেওয়া হচ্ছে। আরে ভারত তো আমরা বলিই। এতে নতুন কী আছে’!
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি জি-২০ সম্মেলনের জন্য যে নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন সেই আমন্ত্রণপত্রে ইন্ডিয়ার পরিবর্তে ভারত লেখা হয়েছে। হঠাৎ করে কী হল যে দেশের নাম বদলে দেওয়া হবে! আমরা ইংরেজিতে বলি ইন্ডিয়া আর হিন্দিতে বলি ‘ভারত কা সংবিধান। আমরা বলি—ভারত আমার ভারতবর্ষ, স্বদেশ আমার স্বপ্ন গো। কিন্তু তা বলে ইন্ডিয়া নাম ত্যাগ করতে হবে? ওই নামে তো সারা বিশ্ব চেনে?”
বস্তুত জাতীয় স্তরে বিরোধী জোটের নাম ‘ইন্ডিয়া’হওয়ার পর থেকে রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক উস্কে উঠেছে। ইন্ডিয়া নাকি ভারত? নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর অনুগামীরা ইন্ডিয়া শব্দটিকে কখনও ঔপনিবেশিক বোঝা বলছেন, কখনও বা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে জুড়ে দেখাতে চাইছেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি ভবনের আমন্ত্রণ পত্রে ‘ভারত’ নাম ব্যবহার করাতেই বিতর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘এঁরা ইতিহাস বিকৃত করছে। কোন দিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম বদলে দেবে। যা ইচ্ছা বদলে দিচ্ছে। দেশের ঐতিহাসিক সৌধগুলির নামও বদলে দিচ্ছে’।