রহস্যজনকভাবে মৃত্যু ঘটল বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিকের। রোজগারের জন্য ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়েছিলেন তিনি। মৃতের নাম সাদেকুল শেখ (১৯)। মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কা ব্লকের অর্জুনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবনগরের বাসিন্দা সাদেকুল। জানা গিয়েছে, উড়িষ্যার কুন্দ্রায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন তিনি। তাঁর গলায় ফাঁস লাগানো দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অর্জুনপুর গ্রামে শুকুর্দি শেখের ছেলে সাদেকুল। বছর খানেক আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল সামশেরগঞ্জ ব্লকের ধুলিয়ানে রেশমা খাতুনের সঙ্গে। রেশমা এখন অন্তঃসত্ত্বা। সংসার চালানোর জন্য কিছুদিন আগে উড়িষ্যার কুন্দ্রায় রাজমিস্ত্রির কাজ নিয়েছিলেন সাদেকুল। সেখানেই থাকছিলেন তিনি। কুন্দ্রায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্মীয়মাণ ভবনে সাদেকুল কাজে যোগ দিয়েছিলেন রাজমিস্ত্রি হিসেবে।
প্রসঙ্গত, মৃতের পরিবার জানাচ্ছে, রবিবার রাত ১১টা নাগাদ সাদেকুল স্ত্রী রেশমাকে ফোন করেন। দু’জনের মধ্যে কোনও বিষয়ে মতবিরোধ শুরু হয়। অভিমানে সাদেকুল ফোন কেটে দিয়ে মোবাইল সুইচ বন্ধ করে দেন। সোমবার বেলা দশটা নাগাদ পরিবারের লোকের কাছে খবর আসে, সাদেকুল গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। খবর পেয়ে কুন্দ্রা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ভুবনেশ্বর হাসপাতালে। মৃত সাদেকুলের মা আনোয়ারা বিবির দাবি, ”আমার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না। ছবি দেখলাম টিন দেওয়া ঘেরা একটা ঘরে গলায় গামছা দিয়ে সাদেকুল দাঁড়িয়ে আছে। পা দুটো পুরো মাটিতে। আমার মনে হয়, ওকে খুন করার পর কেউ পরিকল্পিতভাবে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ওখানে ঝুলিয়ে দিয়েছে।” ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কুন্দ্রা থানার পুলিশ। ঘটনাটি খুন না আত্মহনন, খতিয়ে দেখছে তারা।
![উড়িষ্যায় রহস্যজনক মৃত্যু মুর্শিদাবাদের পরিযায়ী শ্রমিকের - উদ্ধার গলায় ফাঁস লাগানো দেহ, শুরু তদন্ত](https://ekhonkhobor.com/wp-content/uploads/2023/09/3-4.jpg)