গত সপ্তাহের সোম ও মঙ্গলবার লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে ম্যারাথন তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আর তা করতে গিয়েই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার কম্পিউটারে ‘অচেনা’ ১৬টি ফাইল ডাউনলোড করে যায় তারা। সেই ফাইল আপলোডিং সংক্রান্ত মামলায় ইডি ও কলকাতা পুলিশের মধ্যে তৈরি হয়েছে সংঘাতের পরিস্থিতি। এবার লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসের কম্পিউটার থেকে ‘ফাইল ডাউনলোড’ কাণ্ডে এবার ওই সংস্থারই কর্মীকে তলব করল লালবাজার। ডেকে পাঠানো হয়েছে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কর্মচারী চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই চন্দন-ই ‘ফাইল ডাউনলোড’ নিয়ে লালবাজারের সাইবার সেলে প্রথম ইডি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২১-২২ অগস্ট লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে একটানা প্রায় ১৮ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়েছিলেন ইডি-র গোয়েন্দারা। সেই সময় অফিসে ছিলেন ওই সংস্থার কর্মী চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে, চন্দনবাবু কলকাতা পুলিশের কাছে ইডি-র গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধে সংস্থার একটি কম্পিউটারে ১৬টি ফাইল অচেনা ডাউনলোডের অভিযোগ দায়ের করেন। যা নিয়ে শোরগোল পরে যায়। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ। ইডি কর্তৃপক্ষের কাছে পুরো বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়। জবাবি চিঠি-তে কেন্দ্রিয় এজেন্সির তরফে বলা হয় যে, তাদের এক আধিকারিক ওই কম্পিউটারে মেয়ের জন্য হস্টেলের খোঁজ নিচ্ছিলেন, সে সময়ই ওই এক্সেল ফাইলগুলো ডাউনলোড হয়েছে! অন্যান্য অফিসারদের সামনেই ওই অফিসার মেয়ের হস্টেলের খোঁজখবর নিচ্ছিলেন।
ইডির দাবি, ওই অফিসারের মেয়ে এ বছর শিবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হয়েছে। হস্টেলে থাকতে শুরু করেছে। তাই মেয়ের সুরক্ষার কথা ভেবেই কলেজের হস্টেল সম্পর্কে কম্পিউটারে নানান খবরাখবর নিচ্ছিলেন। হস্টেল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করার সময়ই ওই ১৬টা এক্সেল ফাইল কোনওভাবে ডাউনলোড হয়ে থাকবে। ইডি-র এই উত্তরে সন্তুষ্ট নয় লালবাজার। মঙ্গলবার মেল মারফৎ ইডি-র এক আধিকারিককে লালবাজারে সশরীরে হাজির হয়ে পুরো বিষয়ের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। কিন্তু সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতে ফের মেল করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। বলা হয়, যা বলার ইতিমধ্যেই লিখিত ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টিকে এত সহজ মনে করছে না কলকাতা পুলিশ। ঘটনাটির আরও তথ্য জোগাড়ে তাই এবার ডেকে পাঠানো হল লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কর্মী চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়কে।