চা শ্রমিকরা বাগানের যেখানে বসবাস করেন সেখানেই তাঁদের পাট্টা প্রদানের পথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবার এমনই আশ্বাস দিলেন চা বলয় থেকে মনোনীত তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিক বরাইক।
প্রসঙ্গত, গত ২১ তারিখ সাংসদ হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বুধবারই দিল্লি থেকে বাড়ি ফেরার পথে নাগরাকাটায় আসেন প্রকাশ। ১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের সুলকাপাড়া ক্রসিংয়ে সাংসদকে বিপুল সংবর্ধনায় ভরিয়ে দেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। সেখানেই প্রকাশ বলেন, চা শ্রমিকদের জমির পাট্টা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। শ্রমিকরা যেখানে বসবাস করেন সেখানেই যাতে তাঁরা পাট্টা পায় সেব্যাপারে সরকারের ভূমিকা অত্যন্ত ইতিবাচক। তাঁর সংযোজন, পাট্টা সংক্রান্ত রাজ্য সরকারের যে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে সেটা জমির সমীক্ষা করে দেখার জন্য। এখনই কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। মালিকপক্ষের সঙ্গেও সরকারের বৈঠক হবে। অথচ এখনই অনেকে নানা কথা বলা শুরু করেছেন। তাঁদের বলব আপনারাও সরকারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করুন।
প্রকাশ জানান, আমি নিজেও চা শ্রমিক মহল্লাতেই থাকতাম। এখন স্টাফ কোয়ার্টারে থাকি। শ্রমিকরা যেখানে থাকে সেখানেই পাট্টা পাওয়া যাবে। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টা অত্যন্ত আন্তরিক। এরপরই আসাম, কেরালা, ত্রিপুরার মতো দেশের অন্যান্য চা অধ্যুষিত রাজ্যের কথা তুলে ধরে তৃণমূল সাংসদ বলেন, চা শ্রমিকদের পাট্টা দেওয়ার নীতি একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ সরকারই নিয়েছে। অন্য রাজ্যগুলি এ ব্যাপারে একচুলও এগোয় নি। অথচ অনেকে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। পাট্টা ও ন্যূনতম মজুরি শ্রমিকদের এই দুই দাবিই অবশ্যই পূরণ হবে। প্রকাশ আরও বলেন, প্রত্যেক জেলাবাসীকে ধন্যবাদ। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই। আমি জেলার জন্য কাজ করে যেতে চাই, মানুষের সুখ দুঃখে পাশে থাকতে চাই।