পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডির অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতে নিরুঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তৃণমূল। সেই ফলাফলেই একেবারে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লক্ষ্মীবারে দলের প্রধান, উপপ্রধান নির্বাচন করে এই প্রথম অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়ল তৃণমূল। সৌজন্যে উন্নয়ন, ধারাবাহিক উন্নয়ন। বাঘমুন্ডির বিডিও দেবরাজ ঘোষ বলেন, ‘অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচন হয়েছে’।
এই গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ১০টি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলের তৃণমূল পায় ছটি আসন। ফরওয়ার্ড ব্লক পায় চারটি। এদিন বোর্ড গঠনের সময় ফরওয়ার্ড ব্লকের সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও তারা প্রধান নির্বাচনে অংশ নেন নি। এই পাহাড়জুড়ে ধারাবাহিক উন্নয়নেই শাসকদল তৃণমূলের উপর আস্থা রাখেন এই বনমহলের মানুষজন। যে উন্নয়নের কাছে বাইরে থেকে আসা মানুষজনের মগজ ধোলাই হার মানে। হার মানে ধর্মের নামে রাজনীতি। হার মেনেছে অতীতের সেই বিপথে পরিচালিত করার বার্তা।
একসময় এই পাহাড় ছিল যে সিপিআই (মাওবাদী)-দের অন্যতম ঘাঁটি। সেই জায়গা থেকে সাধারণ ও পুলিশ প্রশাসন যেভাবে অযোধ্যা পাহাড়কে ‘পাখির চোখ’ করে তাতে তৃণমূলের এই সাফল্য উন্নয়নেরই সুফল। বাঘমুন্ডির তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো বলেন, ‘রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের হাত ধরেই অযোধ্যা পাহাড়ে এখন সবুজ পতাকা উড়ছে । এই প্রথম তৃণমূল এই গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করল’। প্রধান হয়েছেন চম্পা সিং মুড়া। উপপ্রধান হন নকুল চন্দ্র বেসরা।