এর আগে একাধিক বার সিপিএম-বিজেপি আঁতাতের প্রমাণ মিলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অভিযোগ তুলেছেন, রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে পরাস্ত করতে হাত মিলিয়েছে বাম-রাম। সেই অভিযোগ যে ভ্রান্ত নয় এবার ফের মিলল তার প্রমাণ। এবার সিপিএমের সমর্থন নিয়ে জঙ্গলমহলের দুই জেলায় বোর্ড গঠন করল বিজেপি। পুরুলিয়ার ধানাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বৃহস্পতিবার বোর্ড গঠন নিয়ে গোলমাল বাঁধে। পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচন নিয়ে ব্যালটে লড়াইয়ের জেরেই এই জটিলতা। তবে সমস্ত জট কাটিয়ে ধানাড়ার দখল নিল সিপিএম-বিজেপি জোট। প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন সিপিএম প্রার্থী। উপপ্রধান পদে বিজেপির জয়ী প্রতিনিধি।
ধানাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ১১টি। পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল অনুযায়ী, তৃণমূল ৪, বিজেপি ২, সিপিএম ৫টি আসন পেয়েছে। গতকাল তৃণমূলের তরফে পঞ্চায়েতের প্রধান পদে মীরা বাউড়ি ও সিপিএমের সুজাতা মণ্ডল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ব্যালটে নির্বাচন হয়। ১১ জন সদস্যের মধ্যে একজন ভোট দেননি। ১০টির মধ্যে সিপিএম ও তৃণমূলের পক্ষে ৫টি করে ভোট পড়ে। তবে তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের ৫টির মধ্যে একটি ব্যালটে তৃণমূলেই প্রথম ভোট দেওয়া হয়েছিল। পরে তা কেটে সিপিএমকে ভোট দেওয়া হয়। মানবাজার ১ ব্লকের প্রিসাইডিং অফিসার পরের ভোটটিকে মান্যতা দেওয়ায় ধানাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির সমর্থন নিয়ে দখল করে সিপিএম।
এর প্রতিবাদে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক মানবাজার-বান্দোয়ান রাস্তায় অবরোধ করেন তৃণমূল সমর্থকরা। পরে বিদায়ী সভাধিপতির হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। তবে ধানাড়ার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি ও সহ-সভাপতি প্রশ্ন তুলেছেন, একই ব্যালটে একজন দু’বার ভোট দেয় কীভাবে? এ নিয়ে মানবাজার ১ ব্লকের বিডিও মোনাজ কুমার পাহাড়ির কাছে অভিযোগও জানান জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, মানবাজার ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি দিলীপ পাত্র। সুজয়বাবু প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে এক ব্যালটে ২ বার ভোট দেওয়া হল? এটি বৈধ হিসেবে কেন ধরা হল? এই সংক্রান্ত আদেশনামা দেখানোর জন্য বিডিওকে বলেন তিনি।