এখনও পর্যন্ত গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের অধিকাংশ ফল প্রকাশিত হয়েছে কোচবিহারে। গণনা চলছে পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে। দু’টি ক্ষেত্রেই বিরোধীদের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের এলাকা দিনহাটা থেকে রাজবংশী প্রভাবিত অসম সীমানা লাগোয়া এলাকা, সর্বত্রই অগ্রগতি রয়েছে শাসকদলের। জেলার তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ মঙ্গলবার বিকেলে বলেন, ‘পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরেই আমদের বিপুল জয় হবে।’
জেলার ১২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ২৫০৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে ঘোষিত সর্বশেষ ফল অনুযায়ী তৃণমূলের দখলে ১৪৩৮টি। বিজেপির ৪৭২। এ ছাড়া সিপিএম ১৫ এবং কংগ্রেস ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে জিতেছে। নির্দল এবং অন্যেরা ২৬টিতে। ১২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল ৯৯ এবং বিজেপি ২৪টিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। ত্রিশঙ্কু হয়েছে ৫টি। ১২টি পঞ্চায়েত সমিতির ৩৮৩টি আসনের মধ্যেও প্রাথমিক প্রবণতায় অনেকটাই এগিয়ে শাসকদল।
২০১৮ সালে ভোটের আগেই ৩৩টি জেলা পরিষদ আসনের মধ্যে একটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল তৃণমূল। এ বারও তাই হয়েছে। পাঁচ বছর আগে এক নির্দল জিতেছিলেন। বাকি ৩২টি গিয়েছিল রাজ্যের শাসক দলের ঝুলিতে। কিন্তু এ বার যে ৩৩টি আসনে ভোট, তার বড় অংশে বিজেপি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারে বলে পূর্বাভাস ছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট এবং ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের ফলও ছিল তেমনই ‘ইঙ্গিতবাহী’। লোকসভায় ৪৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতেছিল বিজেপি। বিধানসভায় জেলার ন’টি আসনের মধ্যে সাতটি পেয়েছিল তারা।