রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। আগামী ৮ জুলাই ভোট। আর তার আগে শেষ সপ্তাহান্তের প্রচারে মালদহের সুজাপুরে ঝড় তুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার তিনি ঘোষণা করলেন, ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট, ১১ তারিখ ফলপ্রকাশ আর ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসেই বিজয় সমাবেশ হবে। অর্থাৎ জয় যে নিশ্চিত, সেই ভবিষ্যদ্বাণী আগেই করে দিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড।
গতকাল সুজাপুরের জনসভায় অভিষেকের নিশানায় ছিল মূলত কংগ্রেস। তাঁর দাবি, মালদহ দক্ষিণের সাংসদ গনি খান চৌধুরীর পরিবারের সদস্য, বর্ষীয়ান রাজনীতিক আবু হাসেম খান চৌধুরী সেখানে স্রেফ গনি খানের তৈরি শক্ত জমির উপর দাঁড়িয়েই জিতেছেন। জনতার জন্য কোনও কাজ হয়নি। অভিষেক বলেন, ‘আপনারা কংগ্রেসকে ভরসা করে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে জিতিয়েছিলেন। এই জেলায় একজন বিজেপি, একজন কংগ্রেস সাংসদ। কিন্তু তাঁরা এতদিন কী কাজ করেছেন? দুজন সাংসদ এর মধ্যে কেউ মালদহের উন্নয়ন করেনি। চার বছরে একটা বৈঠকও করেননি। তবে ২০২১ সালে যে লড়াই ছিল, তাতে বিরোধীদের ফাঁদে পা না দিয়ে তৃণমূলকে জিতিয়েছিলেন সুজাপুরে। আমি আপনাদের করজোড়ে, নতমস্তকে ধন্যবাদ জানাই।’
কংগ্রেসকে নিশানা করতে গিয়ে অভিষেক পাটনার বিরোধী বৈঠকের প্রসঙ্গও তুলেছেন। যেখানে রাহুল গান্ধীকে কথা বলতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। অভিষেকের অভিযোগ, যেখানে জাতীয় স্তরে মমতা-রাহুল হাতে হাত ধরে বিজেপিকে হারাতে লড়াইয়ে নেমেছেন, সেখানে রাজ্যে বসে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী তৃণমূলের কুৎসা করতে ব্যস্ত।এরপরই আত্মবিশ্বাসের সুরে অভিষেক জানিয়ে দেন, ‘আগামী ৮ তারিখ ভোট। ১১ তারিখ ফলপ্রকাশ। আর তার ঠিক ১০ দিন পর ২১ জুলাই কলকাতায় হবে বিজয় সমাবেশ। ওই দিন শহিদ দিবস, আমরা বিজয় দিবস পালন করব।’