বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল কেষ্ট মণ্ডলকে একডাকে বাংলার প্রায় সব মানুষই চেনেন। কখনও ‘নকুলদানা’ বা কখনও ‘চড়াম চড়াম’ ঢাক বাজানোর মতো কথা বলে হামেশাই খবরের শিরোনামে উঠে আসত তাঁর নাম। কিন্তু গত বছরের ১১ অগস্ট সকালে বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় তাঁর বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে হানা দিয়েছিল সিবিআই। তার কিছু সময় পরেই কেষ্টকে আটক করা হয়। পরে গ্রেফতার হন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। এই মুহূর্তে তিহাড় জেলে তিনি। কিন্তু হুগলির রঘুনাথপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় ৫২ নম্বর সংসদ থেকে তৃণমূলের প্রার্থী এবার কেষ্ট মণ্ডল। আর এই নাম নিয়েই শোরগোল হুগলিতে।
আসলে এই কেষ্ট সেই কেষ্ট নয়। রঘুনাথপুর পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী খুবই সাদামাটা এক টোটোচালক। সারাদিন টোটো চালিয়ে দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে সংসার চালান। অবশ্য রাজনীতির ময়দানে নতুন নয়। আগেরবার পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের দায়িত্ব সামলেছেন। এবার ফের তাঁকে প্রার্থী করেছে দল। ফলে এই মুহূর্তে প্রচারে ব্যস্ত হুগলি জেলার তৃণমূল প্রার্থী কেষ্ট মণ্ডল। যদিও বীরভূমের কেষ্ট মণ্ডলের মতো নকুলদানা বা চরাম চরাম ঢাক বাজানোর মতো দাওয়াই দেওয়ার কথা বলতে শোনা যায় না তাঁর মুখে। বরং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কথা মানুষের সামনে তুলে ধরেই পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার সারছেন রঘুনাথপুরের তৃণমূল প্রার্থী কেষ্ট। নিজের জয়ের ব্যাপারে একশো শতাংশ আশাবাদী তিনি।