গত বছরই দেশ জুড়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যা কাণ্ড নিয়ে। তাঁকে খুনের পর ছক কষে, ঠান্ডা মাথায় প্রমাণ লোপাট করেছিলেন লিভ-ইন সঙ্গী আফতাব পুণাওয়ালা। প্রতি দিন রাত ২টো নাগাদ ফ্রিজ খুলে শ্রদ্ধার দেহের টুকরো একটি একটি করে ছতরপুরের জঙ্গলে গিয়ে ছড়িয়ে দিয়ে আসতেন তিনি। এবার এনডিএ শাসিত মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে শ্রদ্ধাকাণ্ডের ছায়া। সেখানে রাগের বশে লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে তাঁর দেহাংশ কেটে ফ্ল্যাটে লুকিয়ে রেখেছিলেন ৫৬ বছরের এক প্রৌঢ়! মুম্বইয়ের মীরা রোডের এই নৃশংস ঘটনায় অভিযুক্ত ওই প্রৌঢ়কে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
জানা গিয়েছে, খুনে অভিযুক্ত ওই প্রৌঢ় মনোজ সাহানির সঙ্গে দীর্ঘ দিন একত্রে বাস করতেন ৩৬ বছর বয়সি সরস্বতী বৈদ্য। মুম্বইয়ের মীরা রোডের গঙ্গানগর অঞ্চলের আকাশদীপ নামের একটি আবাসনে ৩ বছর ধরে ভাড়া থাকতেন তাঁরা। স্থানীয়দের সূত্রে জানা গিয়েছে, বোরিওয়ালি এলাকায় একটি ছোট দোকান চালাতেন মনোজ। মনোজ এবং সরস্বতীর ফ্ল্যাট থেকে পচা গন্ধ আসতে থাকায় স্থানীয় থানায় খবর দেন আবাসনের অন্য বাসিন্দারা। পুলিশ এসে ওই ফ্ল্যাট থেকে সরস্বতীর পচাগলা দেহাংশ উদ্ধার করে। ফ্ল্যাটের অন্য প্রান্তে পাওয়া যায় আরও কিছু দেহাংশ।
মুম্বই পুলিশের ডেপুটি কমিশনার জয়ন্ত বজবলে জানিয়েছেন, জেরায় খুনের কথা কবুল করেছেন মনোজ। জানা গিয়েছে, এমনিতে তাঁদের মধ্যে ভাল বোঝাপড়া থাকলেও সম্প্রতি কিছু বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। তারপর কুঠার দিয়ে সরস্বতীকে কুপিয়ে খুন করে তাঁর দেহকে টুকরো টুকরো করেন মনোজ। এমনকি তাঁর দেহাংশকে গরম জলেও ফোটানো হয়! পুলিশের অনুমান, খুনের পর প্রমাণ লোপাট করার জন্যই এই কাজ করেছিলেন মনোজ। তবে ঠিক কী কারণে খুন, তা মনোজকে জেরা করে এবং পারিপার্শ্বিত তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করে বুঝতে চাইছেন তদন্তকারীরা।