বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই সাধারণ মানুষের জন্য একাধিক জনমুখী প্রকল্পের সূচনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যজুড়ে সেগুলি বিপুল জনপ্রিয়তাও লাভ করেছে। পরবর্তীতে এই প্রকল্পগুলিকে অনুসরণ করেছে দেশের অন্যান্য রাজ্যও। এবার ফের ঘটল তেমনটাই। কর্ণাটকে সিদ্দারামাইয়ের নেতৃত্বাধীন নয়া মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই ভোটের আগে দেওয়া কংগ্রেসের পাঁচ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের ছাড়পত্র দেওয়া হল। আর সেখানে বাংলার ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ এর আদলে ‘গৃহলক্ষ্মী যোজনা’ চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাকি চার প্রতিশ্রুতিও আগামী মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। পাঁচ প্রতিশ্রুতি কার্যকর করতে যে ৫০ হাজার কোটি টাকা হবে তার সংস্থানও করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মোট পাঁচ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। ওই পাঁচ প্রতিশ্রুতিতে বলা হয়েছিল, রাজ্যে দল সরকার গঠন করলে প্রত্যেক পরিবারকে ‘গৃহজ্যোতি’ যোজনায় বিনামূল্যে ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। ‘গৃহলক্ষ্মী’ যোজনায় প্রত্যেক মহিলাকে মাসে ২,০০০ টাকা ভাতা দেওয়া হবে। ‘অন্নভাগ্য’ যোজনায় দারিদ্র্য সীমার নিচে থাকা পরিবারকে প্রতি মাসে দেওয়া হবে ১০ কিলোগ্রাম খাদ্যশস্য। এছাড়া, মহিলাদের বিনামূল্যে বাসে চড়ার সুযোগের পাশাপাশি বেকার যুবক-যুবতীদের মাসে তিন হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। ডিপ্লোমাধারীদের মাসে দেড় হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হবে। কংগ্রেসের ওই পাঁচ প্রতিশ্রুতি কন্নড়বাসীদের মনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। বিজেপির পক্ষ থেকে বার বার অভিযোগ করা হয়েছিল, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ভাঁওতা দেওয়া হচ্ছে। যদিও পদ্ম শিবিরের ওই বক্তব্যকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছেন কন্নড়বাসী। বরং কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতির ওপরে আস্থা রেখেছেন তাঁরা। কর্ণাটকের সঙ্গে সঙ্গে পুরো দক্ষিণ ভারত থেকে মুছে গিয়েছে বিজেপির কর্তৃত্ব।