আর বেশি দেরি নেই। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন বাংলায়। সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। এবার পঞ্চায়েত প্রস্তুতিতে জোড়া পদক্ষেপ দিল শাসকদল তৃণমূলের। একদিকে সপ্তাহে শুক্রবার করে জেলাওয়াড়ি বৈঠক করবেন মমতা। অন্যদিকে টানা জেলা সারবেন সফর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সংগঠনকে সাজাবেন খোদ মমতা, আর জেলায় জেলায় এখন থেকেই ম্যারাথন প্রচারে নামবেন অভিষেক। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের আগে, পিছিয়ে পড়া জায়গাতেই জোর দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের। পিছিয়ে থাকা জেলা দিয়েই এপ্রিল জুড়ে সভা শুরু করবেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক সভাগুলির দিনক্ষণ :
৮ এপ্রিল – আলিপুরদুয়ার, ১২ এপ্রিল – বাঁকুড়া, ১৭ এপ্রিল – পূর্ব বর্ধমান, ২০ এপ্রিল – উত্তর দিনাজপুর, ২৯ এপ্রিল – আরামবাগ।
প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ারে বিজেপির প্রভাব ও উপস্থিতি বেশ জোরালো। অন্যদিকে শাসক দলে রয়েছে খানিক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বাঁকুড়ায় বিজেপির সাংসদ রয়েছে। রয়েছে নীচুতলায় সংগঠনও। জঙ্গলমহলের অংশে রয়েছে আরএসএসের দীর্ঘ দিনের উপস্থিতি। পূর্ব বর্ধমান বাঁকুড়ার চেয়ে ভাল অবস্থায় থাকলেও কালনা, কাটোয়া বর্ধমান শহর সর্বত্র বিজেপির পাশাপাশি পোক্ত সংগঠন রয়েছে বামেদের। সম্প্রতি অঘোষিত আঁতাতের যে ছবি সাগরদীঘিতে ধরা পড়েছে, তার অনুরূপ সম্ভাবনার জায়গা হতে পারে পূর্ব বর্ধমান জেলা। এছাড়া উত্তর দিনাজপুর জেলার সংগঠনে রয়েছে কিছু সমস্যা। বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা আব্দুল করিম চৌধুরী বিভিন্ন সময়ে নানা মন্তব্যে দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন। এই জেলারই সংখ্যালঘু যুব মুখকে সম্প্রতি দলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি করেছে তৃণমূল। এই জেলাও অভিষেকের সভার তালিকায় রয়েছে।