আগামীকাল, অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষার দিন তিনেক আগেও অ্যাডমিট কার্ড পাননি খড়গপুরের ছাত্রী সোনালী মিদ্যা। এরপর ‘এক ডাকে অভিষেক’ হেল্পলাইনে ফোন করতেই তড়িঘড়ি মিলল সুরাহা। শনিবার পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড হাতে পেয়েছেন সোনালী। খড়গপুর ১ নম্বর ব্লকের জয়গোপালপুরের বাসিন্দা তিনি। খেলাড় গজেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সোনালী। গত বৃহস্পতিবার স্কুল থেকে অ্যাডমিট কার্ড না মেলায় প্রবল উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তিনি। সেই সময় গ্রামেরই কয়েক জনের পরামর্শে শুক্রবার সোনালী ফোন করেন ‘এক ডাকে অভিষেক’-এ। আবেদন জানান সাহায্যের। এর পরই মেলে সমাধান। শনিবার অ্যাডমিট কার্ড হাতে পেয়েছেন সোনালী। স্বভাবতই ভীষণ খুশি তিনি। সোনালী জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেলেই সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর থেকে তাঁদের ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে শনিবার বিকাশ ভবনে যেতে। শনিবার বাবা খোকন মিদ্যাকে নিয়ে বিকাশ ভবনে যান সোনালী। সেখান থেকে অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করেন তিনি।
সোনালী জানিয়েছেন, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফর্ম ফিল আপ করার সময়ে সই করা হয়নি আমার। সেই কারণেই হয়তো আমার অ্যাডমিট কার্ড এসে পৌঁছয়নি। এ বার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে আমি পরীক্ষায় বসতে পারব। আমি তাঁকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।’’ উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচীর আদলে গত বছরের ১৮ই জুন পৈলানে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘এক ডাকে অভিষেক’ কর্মসূচীর ঘোষণা করেছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই মঞ্চে একটি হেল্প লাইন নম্বর চালু করেন তিনি। ৭৮৮৭৭৭৮৮৭৭ নম্বরে ফোন করে এলাকাবাসীকে তাঁদের যাবতীয় সমস্যার কথা জানাতে বলেন সাংসদ। প্রাথমিক ভাবে সেই হেল্পলাইন নম্বর সীমাবদ্ধ ছিল অভিষেকের নির্বাচনী কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারেই। এর পর অবশ্য পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি, নদিয়ার রানাঘাট, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জনসভা করতে গিয়ে ওই ফোন নম্বর সাধারণ মানুষকে জানিয়ে দেন অভিষেক। আর এবার মিলল তার সুফল।