একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর তারপরেই আগামী লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে শুরু হয়েছে অন্যান্য রাজ্যে সংগঠন বিস্তার করে দলকে সর্বভারতীয় স্তরে মেলে ধরার চেষ্টা। আর সেই লক্ষ্যেই তৃণমূলের পাখির চোখ ছিল মেঘালয়। সেখানের বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত সরকার গড়ার লক্ষ্যে ঝাঁপিয়েছিল বাংলার শাসকদল। সোমবার পাহাড়ি রাজ্যটির ভোট শেষ হওয়ার পর যে বুথ ফেরত সমীক্ষা এসেছে তাতে একাধিক সংস্থা আভাস দিয়েছে মেঘালয়ে প্রচুর সংখ্যক আসন পাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এবং সেই প্রেক্ষাপটে তারাই হয়ে উঠতে পারে কিং মেকার।
প্রসঙ্গত, বুথফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, মেঘালয়ে এবার কোনও দল ম্যাজিক ফিগার ৩১ পার করতে পারবে না। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে তৃণমূল ৯-১৫টি আসন পেতে পারে, ইউডিপি ৪-৫টি, কংগ্রেস ৪-৫টি, এনপিপি ১১-১৫টি, বিজেপি ৩-৫টি আসন পেতে পারে। অর্থাৎ বুথ ফেরত সমীক্ষা যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতে একাধিক সংস্থা আভাস দিয়েছে মেঘালয়ে ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতি হতে পারে। সেই প্রেক্ষাপটেই তৃণমূল হয়ে উঠতে পারে কিং মেকার।
২০১৮ সালে বিধানসভা ভোটের পর মেঘালয়ে সরকার গড়েছিল এনপিপি-বিজেপি জোট। বিরোধী দলে ছিল কংগ্রেস। কিন্তু মুকুল সাংমার নেতৃত্বে সেই কংগ্রেসের এক ডজনের বেশি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়ে দেন। গত দেড় বছর ধরে তৃণমূলই খাতায় কলমে ছিল মেঘালয়ের বিরোধী দল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দু’দল এবার কাছাকাছি এসে জোট গঠন করে সরকার তৈরি করতে পারে। যা আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় রাজনীতেতে বিশেষ বার্তা দিতে পারে। যখন কেন্দ্রে বিজেপি বিরোধী জোট ঠিকভাবে দানা বাঁধছে না তখন এই দুই দল মেঘালয় থেকে বিজেপি বিরোধী জোটের একটা বার্তা গোটা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ পাবে বলে মনে করছেন অনেকেই।