বাংলা থেকে কার্যত বিদায় নিয়েছে শীতের মরশুম। কখনও কখনও ফের নিম্নমুখী হচ্ছিল পারদ। তবে এবার আর তেমন সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন আবহবিদরা। কারণ, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ই বাড়ছে গরম। গত সোমবার এ যাবৎকালীন ফেব্রুয়ারির উষ্ণতম দিন ছিল। তাই ফেব্রুয়ারি থেকেই গরম বাড়বে বলে মনে করছে হাওয়া অফিস। ফেব্রুয়ারির শুরুতেও এ বছর শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছিল ভালই। মাঝে তাপমাত্রা নেমেছিল বেশ অনেকটাই। কিন্তু গত কয়েক দিনে শীতের আমেজ কার্যত উধাও। সেই তুলনায় বাড়ির বাইরে পা রাখলে অস্বস্তি বোধ হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও সেই রেশই বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এ দিন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা তো নেই-ই, বাড়বে তাপমাত্রাও। রাতের দিকে কিছুটা কম হলেও অস্বস্তি থাকবে। গত কয়েক দিনের তুলনায় কিছুটা কম আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও। সামগ্রিক ভাবে জুনের পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিহীন থেকেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। ফলত, কৃষিকাজের উপরেও এই অনাবৃষ্টির প্রভাব পড়েছে।
পাশাপাশি, পুজোর ঠিক পর পর ধরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির দেখা মিলেছে। বৃষ্টিতে ভিজেছে কলকাতাও। তাতে আশার আলো দেখেন কৃষকরা। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নতুন করে নিম্নচাপের জেরে চলতি সপ্তাহেও বৃষ্টিতে ভিজতে পারে কলকাতা-সহ বাংলার বিভিন্ন জেলা। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে এবং আগামী তিন দিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা সিকিম ও উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকার জেলাগুলিতে। শনিবার পর্যন্ত হালকা মাঝারি বৃষ্টি কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে। আগামী ২৪ ঘন্টায় বজ্রবিদ্যুৎসহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে অরুণাচল প্রদেশে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা অসম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর এবং সিকিমে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯শে ফেব্রুয়ারি থেকে একটি নতুন পশ্চিমী ঝঞ্ঝা প্রবেশ করেছে। যার জেরে হিমাচল প্রদেশ-সহ উত্তরাখণ্ডে তুষারপাতের সম্ভাবনা। এ ছাড়া পাদদেশে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন।