নির্বাচিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টাও কাটেনি, এরই মধ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন দিল্লির নবনির্বাচিত মেয়র শেলি ওবেরয়। বুধবারই ছিল দিল্লিতে মেয়র নির্বাচন। এর আগে তিনবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত করলেও, প্রতিবারই শাসক দল আম আদমি পার্টি ও বিরোধী দল বিজেপি-র মধ্যে বচসা, হাতাহাতির জেরে নির্বাচন বাতিল করতে হয়। গতকালের নির্বাচনও যে শান্তিপূর্ণ ছিল, তা বলা ভুল। তবে তীব্র অশান্তির মাঝেই ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ১৫০টি ভোট পেয়ে দিল্লির মেয়র হিসাবে নির্বাচিত হন আপ প্রার্থী শেলি ওবেরয়। মেয়রের দায়িত্ব পাওয়ার পরই তাঁর অভিযোগ, বিজেপির কাউন্সিলররা তাঁকে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন।
বুধবার দিল্লির মেয়র নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকেই দফায় দফায় অশান্তি হয়। তার মধ্যেই চলে ভোট গ্রহণ। ইতিমধ্যেই বিধানসভার ভিতরের বেশ কিছু ছবি ও ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে আপ ও বিজেপির কাউন্সিলররা একে অপরের উপরে চিৎকার করছেন, মারমুখী রূপ নিয়েছেন। এমনকী, একে অপরকে লক্ষ্য় করে জলের বোতলও ছুড়তে দেখা যায়।
অন্যদিকে, সদ্য নির্বাচিত মেয়র শেলি ওবেরয়ও অশান্তির অভিযোগ আনেন। টুইটারে তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে ‘গুন্ডাগিরি’র অভিযোগ আনেন। টুইটে লেখেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আমি যখন স্ট্যান্ডিং কমিটির নির্বাচন করাচ্ছিলাম, সেই সময় বিজেপি কাউন্সিলররা আমার উপরে হামলা করার চেষ্টা করেন! এটাই বিজেপির গুন্ডাগিরি এবং এর সীমা এতদূর পৌঁছে গিয়েছে যে একজন মহিলা মেয়রের উপরে হামলা চালানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা’।
আম আদমি পার্টির তরফেও টুইট করে বলা হয়, ‘অধিবেশন চলাকালীন বিজেপির কর্পোরেটর শিখা রাই মেয়রের দিকে তেড়ে যান এবং তাঁর হাত থেকে মাইক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এই ঘটনার অভিযোগ জানানো হবে পুলিশে”। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও শেলি ওবেরয়ের দাবির সূত্র ধরেই বলেন, ‘এটা অত্যন্ত আশ্চর্যকর ও অনস্বীকার্য ঘটনা’।