প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন দীর্ঘ ১০ বছর। কিন্তু এতদিনে একবারের জন্যেও সাংবাদিক বৈঠক করতে দেখা যায়নি তাঁকে। বিরোধী দলগুলিও বরাবরই এই অভিযোগ করে এসেছেন, যে মোদী দীর্ঘ বক্তব্য রাখতে পছন্দ করেন, কিন্তু সেখানে তিনি বিরোধীদের করা অভিযোগ নিয়ে মন্তব্য করতে পছন্দ করেন না! সংসদেও বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দিতে চান না। তবে সেই ‘নীরব’ মোদীর উদ্দেশেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু প্রশ্ন রাখলেন জনৈক ব্যক্তি। যা সাধারণত বিরোধীরা করে থাকেন।
ওই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছেন, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে যেমন মনরেগায় বাংলার প্রাপ্য কেন মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে না? আর কেন্দ্রের ডিজিটালাইজেশনের ধাক্কাতে যে গ্রামীণ, দরিদ্র মানুষদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে, বিষয়টি কেন্দ্র কীভাবে দেখছে? তাঁর প্রশ্ন, বিবিসি’র দফতরে আয়কর ‘সমীক্ষা’ নিয়ে কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া কী, যখন একে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ হিসেবে দেখা হচ্ছে?
এখানেই না থেমে তিনি প্রশ্ন করেছেন, যে বাংলায় কোভিড পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবং ভ্যাকসিনের ঘাটতি মেটাতে কেন্দ্র কী পরিকল্পনা নিয়েছে? বাংলাদেশ ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে কেন্দ্র ঠিক কী পদক্ষেপ নিয়েছে? এরপরই ওই ব্যক্তি তাঁর টুইটার পোস্টের শেষে লিখেছেন, আর করোর মনে কি অন্য কোনও ইস্যুতে বা বিষয়ে প্রশ্ন মাথায় আসছে, যা সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত জানতে চান?