সম্প্রতি আমেরিকার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। আর তারপর থেকেই বিপাকে গৌতম আদানির সংস্থা। পরিস্থিতি এমনই যে ওই গোষ্ঠীতে টাকা ঢালার বিষয়টি ভেবে দেখতে শুরু করেছে অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থাই। শেয়ারে টাকা ঢালা অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে লগ্নি। এরই মধ্যে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারী বিশ্বের অন্যতম বড় সংস্থা নরওয়ের ‘সভরেন ওয়েলথ ফান্ড’ সম্প্রতি জানিয়ে দিল আদানি গোষ্ঠীতে তাদের বিনিয়োগ করা মোট ১ কোটি ৩৫ লক্ষ কোটি ডলার তারা বছরের শুরু থেকেই একটু একটু করে তুলে নিয়েছে। সংস্থার প্রধান ক্রিস্টোফার রাইটস জানিয়েছেন, আদানি গোষ্ঠীর কাজকর্মের উপর তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই নজর রেখেছেন। দেখেছেন যে, তাদের বিনিয়োগ এমন জায়গায় যাচ্ছে যেখানে পরিবেশের ঝুঁকি রয়েছে।
অন্যদিকে, ভারতের পাশাপাশি আদানি কাণ্ডের ছায়া পড়তে শুরু করেছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশেও। বাংলাদেশ সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি খতিয়ে দেখতে চাইছে ঢাকা। ২০১৭ সালের নভেম্বরে আদানি-র শক্তি সংস্থার সঙ্গে ২৫ বছরের বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি করে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিপি)। সেই অনুযায়ী ঝাড়খন্ডের গোড্ডার কয়লানির্ভর এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়ার কথা বাংলাদেশের। সূত্রের খবর, বিপিডিপি-র পক্ষ থেকে সম্প্রতি আদানির সংস্থাকে একটি চিঠি দিয়ে চুক্তিটি পুনরায় খতিয়ে দেখার অনুরোধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কয়লা দাম অত্যন্ত বেড়ে যাওয়ায় এই অনুরোধ করা হল।