সোমবার ছিল মিউটেশনের শুনানি। কিন্তু তারপরেও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের জমি নিয়ে জট কাটল না। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, অতিরিক্ত জমি বেআইনিভাবে দখলের চেষ্টা করছেন নোবেলজয়ী। যদিও সেকথা মানতে নারাজ অমর্ত্যর আইনজীবী।
প্রসঙ্গত, সোমবার নির্দিষ্ট সময়মতো বিএলআরও অফিসে যান অমর্ত্য সেন। সঙ্গে যান তাঁর আইনজীবীরা। বিএলআরও অফিসে ছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অশোক মাহাতো, আইনজীবী সুচরিতা বিশ্বাস-সহ অন্যান্যরা। মিউটেশনের শুনানির শুরুতে দু’পক্ষের আইনজীবী সামান্য বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। বিশ্বভারতীর আইনজীবী সুচরিতা বিশ্বাসের দাবি, বিশ্বভারতীর অধীনস্থ জমির পরিমাপ ১.৩৮ ডেসিম্যাল। ১.২৫ ডেসিম্যাল জমি অমর্ত্যর। নিয়ম বহির্ভূতভাবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অতিরিক্ত জমির মিউটেশন করাতে চান বলেই দাবি তাঁর।
যদিও বিশ্বভারতীর আইনজীবীর এই অভিযোগ মানতে নারাজ অমর্ত্য সেনের আইনজীবীরা। তাঁরা জানান, অমর্ত্য সেন কোনওভাবেই অন্যের জমি নিতে চান না। যতটুকু তাঁর, ঠিক ততটুকুই মিউটেশন করার কথা বলেছেন তিনি। মিউটেশনের পরবর্তী শুনানি আবার কবে হবে, তা নিয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারছেন না অমর্ত্যর আইনজীবী। কারণ, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কিছুটা সময় চেয়ে নিয়েছে। তারা পরবর্তী সময় দিলে আবারও শুনানি হবে।