মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত জনমুখী প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম হল ‘দুয়ারে সরকার’। এতে উপকৃত হয়েছেন বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের সমস্ত শ্রেণির মানুষ। পঞ্চায়েত-সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরগুলি শিবির গড়ে পৌঁছে গিয়েছে মানুষের কাছে। সেখান থেকে সাধারণ মানুষ নিজেদের প্রয়োজনীয় নথিপত্র ও সার্টিফিকেট-সহ সমস্ত কাজের পরিষেবা পেয়েছেন। সেই সাফল্যের পরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ব্লকে ব্লকেও ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর সেই নির্দেশকে পাথেয় করে কাউন্সিলরবিহীন ওয়ার্ডের মানুষকে পরিষেবা দিতে এবার বসিরহাটে দেখা গেল এক অভিনব উদ্যোগ। ২০২২ সালের পুরভোটের কিছুদিন পরেই মৃত্যু হয়েছিল বসিরহাট পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মহল্লা প্রধান অজয় মজুমদারের। তারপর থেকে সেই ওয়ার্ডে বাসিন্দারা কাউন্সিলরহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছিলেন। বিভিন্ন কাজকর্ম ও ওয়ার্ডের কাজ-সহ সার্টিফিকেট আদায়ের মতো পরিষেবা পেতেও অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।
এবার এর সুরাহায় এগিয়ে আসলেন বসিরহাট পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর রানা দাস। তিনি এবার ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের অনুসরণে ‘দুয়ারে সার্টিফিকেট’ পরিষেবা চালু করলেন। পৌরসভা সংক্রান্ত যে কোনও পরিষেবার প্রয়োজনে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মেসেজ করলেই বা ফোন করলে বাড়িতে পৌঁছে যাবে সার্টিফিকেট-সহ একাধিক পরিষেবা। ২৪ ঘন্টাই মিলবে এই পরিষেবা। হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ৮৬১৭৩৮৫৮৮৪। এই নম্বরে মেসেজ বা ফোন করলে সারাদিনই পরিষেবা পাবেন পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ৭০০০ মানুষ। দেখা গিয়েছে, নানা কাজে বিশেষত বাড়িতে কেউ অসুস্থ থাকলে পৌরসভা সংক্রান্ত একাধিক নথিপত্র জোগাড় করতে করতে কালঘাম ছোটে স্থানীয় বাসিন্দাদের। সেই সমস্যা সমাধানেও এই পরিষেবা খুবই কাজে লাগবে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, একাধিক কাজে ফেঁসে গেলে তাঁদের যখন কোনও নথিপত্র বা অফিশিয়াল কাজের কোনও ডকুমেন্ট দরকার হবে তখনই তাঁরা এই পরিষেবা পাবেন। এই পরিষেবার ফলে কাউন্সিলরহীন ওই ওয়ার্ডের প্রচুর মানুষ ব্যাপক উপকৃত হবেন বলে জানাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল। খুশি এলাকাবাসীরাও।