বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর আমজনতার কাছের মানুষ হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত একাধিক জনমুখী প্রকল্প পৌঁছে গিয়েছে রাজ্যবাসীর দুয়ারে দুয়ারে। বিশ্ব-আঙিনায় অর্জন করেছে স্বীকৃতিও। এবার দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উন্নয়ন ও সামাজিক কাজ দেখতে বাংলায় আসার আগ্রহ প্রকাশ করল জাম্বিয়ার সংসদীয় প্রতিনিধিদল। এই জাম্বিয়ার জাতীয় অ্যাসেম্বলির স্পিকার নেল্লি বুটেটে মুট্টির নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল ইতিমধ্যেই সংসদে এসেছিলেন। সেখানে লোকসভার কাজ দেখেন তাঁরা। একইসঙ্গে মোদী সরকার বিরোধী স্লোগান এবং বিরোধীদের প্রতিবাদেরও সাক্ষী থাকেন।
প্রসঙ্গত, উক্ত প্রতিনিধিদলকে মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানান লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। চব্য–চষ্য মেনুতে তাঁদের স্বাগত জানানো হয়। গ্রিন পিস রাগির স্যুপ দিয়ে শুরু করে হার্বেড গার্লিক ফিস, মুরগ লাব্রাডার, মাটন রোগন জ্যুসের মতো আমিষের পাশাপাশি পণির রিহানা, কোফতা বাগ-ই-বাহার, স্যাঁতে সবজি, অড়হড় ডাল তরকা, বাজরার খিচুরি, জিরা মটর পোলাও-সহ ছিল ২২ রকম পদ। মধ্যাহ্নভোজের টেবিলেই তাঁদের সঙ্গে আলাপচারিতা সারেন লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। একই টেবিলে হাজির ছিলেন কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। প্রতিনিধিদলকে নানা তথ্য তুলে ধরেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাছাড়া আপ্যায়নও করেন তিনি। তারপর সুদীপবাবু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “জাম্বিয়ার সংসদীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব করছিলেন মহিলা। আমি তাঁকে বাংলার কথা বললাম। জানালাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাও। যা শুনে বাংলায় আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ওই প্রতিনিধিদল।” তবে কোন তারিখে আসবেন তাঁরা সেটা এখনও ঠিক হয়নি। ইতিমধ্যেই কন্যাশ্রী বিশ্বের তালিকায় জায়গা পেয়েছে। বাংলার দুর্গাপুজো পেয়েছে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুবার বিদেশে ডাক পেয়েছেন। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার অর্জন করেছে বাংলার দুয়ারে সরকার প্রকল্প।