সামনেই বিধানসভা নির্বাচন মেঘালয়ে। ইতিমধ্যেই উত্তর-পূর্বের সে রাজ্যে তুঙ্গে রাজনীতির পারদ। প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। পিছিয়ে নেই তৃণমূলও। আজ, মঙ্গলবার প্রকাশিত হল মেঘালয়ের বিধানসভা নির্বাচনের দলীয় ইস্তাহার। তা প্রকাশ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর বললেন, “তৃণমূল যেটা অঙ্গীকার করে, সেটা শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে রাখার চেষ্টা করে।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “এটা একটা বই নয়, যেখানে ১০টা পয়েন্ট শুধু লিখে রাখা আছে। এটা আমাদের অঙ্গীকার। আর আমরা এটা করেই দেখাব।”
পাশাপাশি, অভিষেক বলেন যে, তৃণমূল সরকার গঠন করলে মেঘালয়ের জনগণের জন্যই কাজ করবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যে উন্নতি সহ মহিলাদের ক্ষমতায়নই প্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন অভিষেক। তৃণমূল সরকার গঠন করলে কোন কোন বিষয়ের উপর নজর দেবে, তাও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন তিনি। জানান, তৃণমূল সরকারে এলে প্রথম লক্ষ্য হবে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা। রাজ্যের জিডিপি বাড়ানো প্রধান লক্ষ্য। বার্ষিক আয় ৪ গুণ বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে। রাজ্যের সকলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়া-ই তৃণমূলের লক্ষ্য বলে জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে ৫ বছরে ৩ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাই লক্ষ্য। পাশাপাশি, ২১ বছর থেকে ৪০ বছর বয়সী বেকার যুবদের প্রতিমাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। মহিলাদের ক্ষমতায়ন, স্বনির্ভর করা অন্যতম লক্ষ্য। সেজন্য প্রতি মাসে মহিলাদের ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
এছাড়া পেনশন সহ সব সোশ্যাল স্কিমের বরাদ্দ ১০০০ টাকা করে বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন অভিষেক। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সমস্ত পড়ুয়াকে ল্যাপটপ দেওয়া হবে। এপ্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভারত ডিজিটাল হচ্ছে। রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার চলছে। কিন্তু, কেউ ছাত্রছাত্রীদের জন্য এভাবে ভাবেনি। একমাত্র তৃণমূল ছাত্রছাত্রীদের ডিজিটালি উন্নত করতে ল্যাপটপ দেওয়া শুরু করেছে। রাজ্যের পর্যটনে বিশেষ জোর দেওয়া হবে। পর্যটন ক্ষেত্রের মাধ্যমে স্থানীয়দের স্বনির্ভর করতে সবরকম সাহায্য করা হবে। মহিলা সহ সকলকে সামাজিক সুরক্ষা দেওয়া হবে।” পাশাপাশি, খেলাধূলা ও সংস্কৃতিতেও জোর দিতে চায় তৃণমূল। তাই জেলায়-জেলায় গড়ে তোলা হবে স্টেডিয়াম। সংবিধানে গারো-খাসি ভাষার অন্তর্ভুক্তিরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ।