সর্বভারতীয় রাজনীতিতে নিজেদের প্রভাব বিস্তারে মরিয়া দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টি। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে চাইছে। ঠিক এই কারণেই পাঞ্জাব, গুজরাটের পর এবার জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচনে লড়াই কথা জানাল আপ। উপত্যকায় যখনই ভোট হবে তখন “পূর্ণ উদ্যম এবং রাজনৈতিক শক্তি” নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বার্তা দিয়েছে কেজরি বাহিনী।
২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার হওয়ার পর থেকে এখনই পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচন একবারও হয়নি। এই ভোট নিয়ে গোটা রাজনৈতিক মহলের মাথাব্যথা রয়েছে প্রচুর। আপ-এর জাতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সন্দীপ পাঠকের সভাপতিত্বে নয়াদিল্লিতে একটি সভায় পার্টির পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপ নেতা সন্দীপ পাঠক যিনি দলের নির্বাচনী কৌশলীও হিসাবে কাজ করেন। সেই বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য আপ-এর নির্বাচনী ইনচার্জ ইমরান হুসেন এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পার্টির ইউনিটের পদাধিকারীরা উপস্থিত ছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে আপের রাজ্যসভার সাংসদ জানিয়েছেন, জম্মু-কাশ্মীরের পরবর্তী বিধানসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশ নেবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
সোমবার আপ নেতা উপত্যকার নেতৃত্ব, নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘প্রতিটি শহর ও গ্রামে” দলের ভিত্তি শক্তিশালী করার জন্য তাদের প্রচেষ্টার গতি বাড়াতে। বৈঠকের প্রথম দফায়, দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে আপ-এর ‘কাজ এবং কাঠামোগত উন্নয়ন’ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। দল একটি বিবৃতি বলেছে, “জম্মু ও কাশ্মীর এএপি ক্যাডারের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আসন্ন নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী কৌশল নিয়েও আলোচনা করা হয়েছিল এবং বিধানসভা নির্বাচন, পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং পৌরসভা নির্বাচনের উপর প্রধান জোর দিয়ে চূড়ান্ত করা হয়েছিল’। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভাল, গুজরাটে আপ পূর্ণ শক্তি দিয়ে লড়াই করেও পরাজিত হয়েছে বিজেপি কাছে। তবে জয়ী না হলেও আপকে জাতীয় দল হিসাবে ঘোষণা করেছেন কেজরিওয়াল।