মারণ লিউকোমিয়ায় জীবন যুদ্ধে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলেন বছর ছাব্বিশের পিন্টু মহন্ত। ভিন রাজ্যের তাবড় হাসপাতাল হাত তুলে নিয়েছিল। একের পর এক কেমোথেরাপি, কড়া ওষুধ-ইঞ্জেকশন কিছুই কাজ করছিল না। এরপরই বিধ্বস্ত হতদরিদ্র পিন্টু এনআরএস হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগে আসেন বাবা-ভাইয়ের সঙ্গে। কিন্তু ২৬ বছরের ছেলেটাকে দেখে চমকে যান বিশেষজ্ঞরা। তবে ডা. সন্দীপ সাহা বলেছিলেন, ‘একবার শেষ চেষ্টা করছি। বাকিটা…।’ রবিবার ৪০ দিনের মাথায় দিব্য সুস্থ সেই পিন্টু। কয়েকদিন পরই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে তাঁকে। আর এই কাজটা সম্ভব হয়েছে অর্ধেক জিনের দৌলতে। তাও আবার ভাইয়ের থেকে নেওয়া। মোদ্দা কথা, হাফ ম্যাচ বা অর্ধেক জিন মিলে যাওয়াতে মৃত্যুর মুখে তুড়ি দিয়ে নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে এই যুবক।
ঘটনা এখানে শেষ নয়। রক্তের ক্যানসারে হ্যাপ্লয়েড জিন থেরাপির এই সাফল্য সাড়া ফেলেছে দেশের তাবড় রক্ত বিশেষজ্ঞদের মহলে। এনআরএসের এই সাফল্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ তুফান দলুইয়ের কথায়, ‘দেশের কোনও সরকারি হাসপাতালে এমন পদ্ধতিতে সাফল্য এই প্রথম।’ এনআরএস হাসপাতালের কর্তাদের বক্তব্য, লিউকোমিয়া নিরাময়ে এই পদ্ধতিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন দেশের রক্তরোগ বিশেষজ্ঞরা। আর ডাঃ সন্দীপ সাহা এবং শুভ্রনীল বাউলের কথায়, ‘‘দেশের কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল চেষ্টা করছে এই থেরাপিতে রোগমুক্ত করতে। কিন্তু খরচ ৪০-৫০ লক্ষ টাকা। তাই অনেক পরিবার পিছিয়ে আসে। চোখের সামনে রোগী শেষ হয়ে যায়। এবার আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেকটা বেড়ে গেল।’