গুজরাতের মোরবির মর্মান্তিক সেতু-বিপর্যয়ের পর দেশজুড়ে সৃষ্টি হয়েছিল তোলপাড়। সেতুটি ভেঙে পড়ার পর স্থানীয় পুরসভার বিরুদ্ধে একাধিক গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। এবার গুজরাতের রাজ্য সরকারের তরফে শোকজ নোটিশ পাঠানো হল মোরবি পুরসভাকে। নোটিসে বলা হয়েছে, নিজেদের কর্তব্যে গাফিলতির পরে পুরসভা ভেঙে দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু ঘটনার পরে বেশ কিছুদিন কেটে গেলেও পুরসভার সদস্যরা পদত্যাগ করেননি। মোরবি বিপর্যয়ের পর গুজরাত হাই কোর্টও জানিয়েছিল, ভেঙে ফেলতে হবে পুরসভা। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, বুধবার মোরবি পুরসভার কাছে নোটিশ পাঠিয়েছে গুজরাত সরকার। নগরোন্নয়ন দফতরের তরফে নোটিশ দিয়ে বলা হয়েছে, মোরবি পুরসভাকে বিপর্যয় নিয়ে জবাব দিতে হবে। সেই সঙ্গে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে পুরসভার সমস্ত সদস্যকে ইস্তফা দিতে হবে। প্রসঙ্গত, মোরবি বিপর্যয় নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছিল গুজরাট হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়। ২০২২ সালের ১৩ই ডিসেম্বর আদালত জানিয়ে দেয়, ভেঙে দিতে হবে মোরবি পুরসভা।
উল্লেখ্য, গত ৩০শে অক্টোবর গুজরাটের মোরবিতে মচ্ছু নদীর উপরে ব্রিটিশ আমলের সেতু ভেঙে পড়ে। সেই মুহূর্তে ব্রিজে প্রায় ৫০০ জন ছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। রাতভর উদ্ধার অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৪০ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এর পরেই সেতুটির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে একাধিক অভিযোগ সামনে আসে। জানা গিয়েছিল, সেতু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ওরেভা সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছিল। বেশ কয়েক মাস ধরে সেতু মেরামতের কাজ চলছিল। এর পরেই তা জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়। যদিও কোনও ফিটনেস সার্টিফিকেট ছিল না সংস্থার কাছে। তখনই বিরোধীরা অভিযোগ করেন, বিধানসভা ভোটের লোভে বিপজ্জনক অবস্থাতে সেতু খুলে দেওয়া হয়। উঠেছিল বিতর্কের ঝড়। শাসকদল বিজেপির অকর্মণ্যতার বিরুদ্ধে সুর তুলে সরব হয়েছিল একাধিক মহল।
