জমজমাট হয়ে রইল রিয়াধ অল স্টার একাদশ বনাম পিএসজির প্রদর্শনী ম্যাচ। ৯ গোলের দুরন্ত ম্যাচের সাক্ষী থাকলেন বিশ্বজোড়া ফুটবলপ্রেমীরা। এদিন খেলার অনেক আগে থেকেই তুঙ্গে ছিল উন্মাদনা। মাঠ ছিল কানায় কানায় পরিপূর্ণ। টানেলের মধ্যে থেকে মেসি, রোনাল্ডোরা বেরিয়ে আসতেই উল্লাসে ফেটে পড়লেন দর্শকরা। অতিথি হয়ে সেখানে গিয়েছিলেন বলিউড মহাতারকা অমিতাভ বচ্চন। মাঠে দু’দলের ফুটবলারদের সঙ্গে হাত মেলালেন তিনি। এদিন ম্যাচের তিন মিনিটের মাথায় গোল করেন মেসি। বক্সের বাইরে থেকে নেইমারের নিখুঁত পাসে সৌদির জাতীয় দলের গোলরক্ষক আল-ওয়াইসকে আরও এক বার পরাস্ত করলেন মেসি। খেলায় দাপট বেশি দেখাচ্ছিল পিএসজি। ১৭ মিনিটের মাথায় সহজ সুযোগ নষ্ট করেন নেইমার। দু’মিনিট পরেই দেখা গেল মেসি-এমবাপে যুগলবন্দি। মেসির পাস থেকে গোল করেন এমবাপে। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেই গোল বাতিল হয়। ৩৪ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরায় রিয়াধ। বক্সের মধ্যে পিএসজি গোলরক্ষক নাভাস ফাউল করেন রোনাল্ডোকে। পেনাল্টি থেকে গোল করেন রোনাল্ডো। পেনাল্টি নেওয়ার সময় সেই পুরনো সিএর৭-এর ঝলক দেখা গেল। চার মিনিট পরে ১০ জনে নেমে যায় পিএসজি। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন জুয়ান বার্নেট। তাতে অবশ্য চাপে পড়েনি প্যারিসের ক্লাব। ৪৩ মিনিটের মাথায় এমবাপের ক্রস থেকে দ্বিতীয় গোল করেন মারকুইনোস।
এরপর প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে নেমারকে বক্সে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় পিএসজি। কিন্তু নেইমারের দুর্বল শট বাঁচিয়ে দেন আল-ওয়াইসি। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করেন রোনাল্ডো। বক্সের বাইরে ফ্রিকিক পান তিনি। তাঁর শট ওয়ালে লেগে প্রতিহত হলেও ফিরতি বলে সের্জিয়ো র্যামোসের ভুল কাজে লাগিয়ে গোল করে যান রোনাল্ডো। কয়েক মিনিট পরেই নিজের ভুল শুধরে নেন র্যামোস। এমবাপের ক্রস থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। ৫৭ মিনিটের মাথায় আবার সমতা ফেরায় রিয়াধ অলস্টার। দক্ষিণ কোরিয়ার জাং এ বার গোল করেন। কিন্তু সৌদির ক্লাবের আনন্দ বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ২ মিনিট পরে বক্সের মধ্যে মেসির শটে হাত লাগিয়ে পেনাল্টি দেন সৌদির ডিফেন্ডার। এ বার পেনাল্টি নিতে যান এমবাপে। বিশ্বকাপের ফাইনালে তিনটি পেনাল্টিতেই গোল করেছিলেন। এবারও গোলে বল জড়াতে ভুল করেননি তিনি। ৬০ মিনিটের পরে মেসি, এমবাপে, রোনাল্ডো ও নেইমারকে তুলে নেওয়া হয়। বোঝাই যাচ্ছিল, দলের প্রধান ফুটবলারদের নিয়ে বেশি ঝুঁকি নিতে চাননি কোচেরা। ৭৭ মিনিটের মাথায় পিএসজির হয়ে আরও একটি গোল করেন হুগো একিটিকে। খেলার অতিরিক্ত সময়ে সৌদির ক্লাবের হয়ে চার নম্বর গোলটি করেন ট্যালিস্কা। শেষপর্যন্ত ৫-৪ গোলে ম্যাচ জিতল পিএসজি।