ধসে যাচ্ছে উত্তরাখণ্ডের যোশীমঠ। মৃত্যু এড়াতে এলাকায় বসতি খালি করিয়েছে সেখানকার সরকার। ভাঙা হয়েছে হোটেল। এলাকা ছাড়ছেন সেখানকার বাসিন্দার। কেন এমন পরিস্থিতি হল, সরকারের ভূমিকা কী ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এর মধ্যেই পশ্চিম বর্ধমানের খনি অঞ্চল রানিগঞ্জের ভবিষ্যত নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যোশীমঠের মতোই যে কোনও সময় ধসে যেতে পারে রানিগঞ্জ। মৃত্যু হতে পারে ২০ হাজার মানুষের। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ তাঁর। কেন্দ্রকে বিঁধে মমতার আরও দাবি, ১০ বছর ধরে দরবার করেও ওই এলাকার মানুষের পুনর্বাসনের জন্য টাকা মেলেনি।
মঙ্গলবার মেঘালয় সফরের আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। তখনই এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে এই আশঙ্কা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘যোশীমঠের মতোই যে কোনও সময় ধসে যেতে পারে রানিগঞ্জ। ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ৩০ হাজার মানুষ।’ তাঁর অভিযোগ, ‘কেন্দ্র কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ১০ বছর ধরে দরবার করেও টাকা মেলেনি।’ শুধু তাই নয়। তিনি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন কয়লা উত্তোলনকারী সংস্থা ইসিএলের দিকেও। মমতার দাবি, ‘ইসিএল জমি নিয়ে রেখে দিয়েছে। কোনও টাকা দিচ্ছে না।’