রবিবার দিল্লীর কানঝাওয়ালা-সুলতানপুরী এলাকায় একটি স্কুটি এবং গাড়ির সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার পর গাড়ির চাকায় আটকে যান স্কুটিতে থাকা তরুণী। এরপর প্রায় ঘণ্টা খানেক ওই এলাকায় তরুণীকে গাড়ির চাকায় ছেঁচড়াতে-ছেঁচড়াতে ওই এলাকায় ঘুরতে থাকে গাড়িটি। পরে তরুণীর বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার হয়। যা নিয়ে উত্তাল রাজধানী। এবার সেই নৃশংস ঘটনায় বিজেপি যোগের অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার মধ্যে একজন বিজেপি নেতা।
বর্ষবরণের রাতে স্কুটি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন বছর কুড়ির ওই তরুণী। সুলতানপুরীর কাছে একটি মারুতি সুজ়ুকি বালেনো গাড়ি ধাক্কা দেয় স্কুটিতে। রাস্তায় পড়ে যান তরুণী। তখনই গাড়ির চাকার একটি অংশ জড়িয়ে যায় তাঁর শরীরের একটি অংশ। সেই অবস্থাতেই প্রায় ১২ কিলোমিটার টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায় গাড়িটি। যার ফলে তাঁর শরীর থেকে জামা-কাপড় ছিঁড়তে থাকে। দুর্ঘটনাগ্রস্থ স্থানের বেশ অনেকটা দূর থেকে মহিলার নগ্ন দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।পোশাকের পাশাপাশি তরুণীর শরীরের পিছনের অংশ চিরে ফালাফালা হয়ে যায়। রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত ওই তরুণীকে বাঁচানো যায়নি। ঘাতক গাড়ির ৫ সওয়ারিকেই পুলিশ গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, বর্ষবরণের রাতে রাজধানীর রাজপথে এমন ঘটনা ঘটে গেল অথচ পুলিশ টেরও পেল না!
ইতিমধ্যেই এই ঘটনার নিন্দায় মুখ খুলেছেন দিল্লীর লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা। তিনি এক টুইট বার্তায় লিখেছেন ‘বর্বরোচিত ঘটনা! লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে গেছে। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও এই ঘটনাকে লজ্জাজনক ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন। দিল্লীর মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল এই ঘটনায় দিল্লী পুলিশকে সমন জারি করেছেন। এরই মধ্যে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত ৫ জনের মধ্যে একজন বিজেপি নেতা। অভিযুক্ত মনোজ মিত্তাল বিজেপি নেতা বলে জানা গেছে। তাঁর একাধিক পোস্টার এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। আদমি পার্টির মুখপাত্র সৌরভ ভরদ্বাজ অভিযোগ করেন, গ্রেফতার হওয়া পাঁচজনের মধ্যে অন্যতম মনোজ মিত্তাল আসলে একজন বিজেপি সদস্য। তাঁর অভিযোগ, লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনা ও দিল্লি পুলিশের সিনিয়র আধিকারিক ইচ্ছাকৃতভাবে এই তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।