মোদীর সাধের বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যেন শনির দশা চলছে! কিছুদিন আগেই মোষের পালের ধাক্কায় গৈরতপুর-বতবা স্টেশনের মাঝে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ভারতে তৈরি এই সেমি হাই স্পিড ট্রেনটি। তার পর একবার গরু এবং একবার ষাঁড়ের গুঁতো খেয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। আবার, এই ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণও গিয়েছে একাধিক। আর এবার বঙ্গের বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ঘিরে একাধিক অভিযোগ উঠল।
ওয়াইফাইয়ের সুবিধা না মেলা, শৌচাগারে জলের টান, দুই কামরার মধ্যবর্তী দরজা ঠিকঠাক না-খোলা, চা-প্রাতরাশ সব যাত্রীর কাছে যথাসময়ে পৌঁছে দিতে না-পারার মতো পরিষেবাগত অভিযোগ অনেক। অনেক যাত্রীই প্রশ্ন তুলেছেন ওই ট্রেনের কামরার ভিতরকার বিভিন্ন সেন্সর নিয়ন্ত্রিত স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে। অভিযোগ, দু’টি কামরার মাঝখানের কাচের দরজা অনেক ক্ষেত্রেই ঠিকমতো খুলছিল না। এগজিকিউটিভ শ্রেণির কয়েকটি শৌচালয়ে জল ফুরিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন অনেকে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে সেন্সর নিয়ন্ত্রিত সোপ ডিসপেন্সার ঠিকমতো কাজ না-করার অভিযোগ শোনা গিয়েছে।
এক যাত্রীর অভিযোগ, ট্রেনে ওয়াইফাই সুবিধা নেই। তা চলছিল না। কেটারিং সংস্থার দেওয়া খাবার শতাব্দী এক্সপ্রেসের থেকে খুব কিছু আলাদা নয়। পুরো ভর্তি ট্রেনে কেটারিং কর্মীদের পরিষেবায় ঘাটতি ছিল বলে অভিযোগ। অনেকেরই অনুযোগ, অল্প কর্মী দিয়ে পুরো ট্রেন সামলাতে গিয়ে বহু যাত্রীর কাছে চা, কফি, প্রাতরাশ পৌঁছে দিতে দেরি হয়েছে। আবার হাওড়া থেকে এনজেপি বা নিউ জলপাইগুড়ির পথে বন্দে ভারতের প্যান্ট্রিতে জল গরম করার মেশিনে গোলমাল দেওয়ায় চায়ের জল গরম হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। কিছু যাত্রীর বক্তব্য, সেই কারণেই অনেককে চা ও প্রাতরাশ দিতে দেরি হয়।