কী হবে তৃণমূলের সোমবারের বৈঠকে? কোনও বড় ঘোষণা কি আসতে চলেছে ২ জানুয়ারি নজরুল মঞ্চের সভা থেকে? সভায় থাকবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন বছরের শুরুতে তৃণমূলের এই মেগা বৈঠক ঘিরে জল্পনা যখন তুঙ্গে।
আর সেটা আরও উস্কে দিয়েছে ‘দরজা খোলার’ তত্ত্ব। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কিছুদিন আগেই একটি টুইট করেছিলেন। লিখেছিলেন, ২ জানুয়ারি দিনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরে নিজেই এর ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘ধামাকা কি না জানি না, তবে ২ জানুয়ারি একটা দিন আছে। দরজা খোলার ব্যাপারে অনেক আবেদন আছে। সাংসদ, বিধায়ক ও সাংগঠনিক নেতাদের আবেদন আছে। তবে দরজা খোলা পুরোদস্তুর অভিষেকের ব্যাপার’।
কিছুদিন আগে কাঁথিতে সভা করতে গিয়ে অভিষেক বলেছিলেন, দরজা ফাঁক করলে বিজেপি ফাঁকা হয়ে যাবে। রবিবারও আবার তাঁর মুখে দরজা ফাঁকের তত্ত্ব শোনা গিয়েছে। বলেছেন, দরজা শুধু ফাঁক করা নয়, সঠিক সময়ে দরজা খোলাও হবে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের মুখে এই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য ঘিরে জল্পনা আরও বেড়েছে। যদিও সেই সঠিক সময় কখন আসবে, সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু উল্লেখ করেননি তৃণমূল সেনাপতি। এদিকে বাংলার রাজনীতিতে এখন তারিখ পে তারিখ। বিরোধী দলনেতা ডিসেম্বরের ১২, ১৪, ২১ তারিখের কথা উল্লেখ করেছিলেন। ২১ তারিখ কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর সভা হয়েছে বটে, তবে বাকি দুটি দিনে বিজেপির পক্ষে যাওয়ার মতো উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটেনি। শুভেন্দুবাবু অবশ্য জানুয়ারি মাসের নতুন তারিখের কথা উল্লেখ করেছেন, তবে এরই মধ্যে নতুন বছরের শুরুতেই তৃণমূলের এই মেগা সভা ঘিরে জোর জল্পনা চলছে।
জল্পনার কারণও রয়েছে। প্রথমত, এই দরজা খোলার তত্ত্ব। দ্বিতীয়ত অতীতে গত ৮ মার্চ এই নজরুল মঞ্চেই মমতার উপস্থিতিতে এক দলীয় সভায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসেছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। তাহলে কি বিজেপিতে আবার কোনও ভাঙন আসন্ন? এমন প্রশ্ন ইতিমধ্যেই ঘুরপাক খেতে চলেছে। এবারও নজরুল মঞ্চের সভায় এমন কোনও চমক অপেক্ষা করছে? জোর জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।