কৃষি সমবায় নির্বাচনে নন্দীগ্রামে গোহারা হয়েছে বিজেপি। এটি আবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র। তাই বিজেপির একটা বড় অংশের নেতা এটাকে শুভেন্দুর হার হিসাবেই দেখছেন। এমনকী রাজ্য বিজেপির সিংহভাগ নেতার মধ্যে এখন খুশির হাওয়া। এই ফলাফলে রীতিমতো খুশি দিলীপ ঘোষ এবং সুকান্ত মজুমদারের শিবির। এখানে রাম–বাম হাত মিলিয়েও ঠেকাতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেসকে। তবে এতে শুভেন্দু অধিকারীর ব্যক্তিকেন্দ্রিক দল করা ধাক্কা খেয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
কয়েকদিন আগে হাজরা মোড়ের সভা থেকে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মর্নিং ওয়াক নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তখন দলের অন্দরের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে আসে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক দিলীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ এক রাজ্য নেতা বলেন, ‘দল ও সংগঠন বাদ দিয়ে শুধু ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতি করতে গিয়েই নন্দীগ্রাম সমবায় ভোটে বিজেপি হেরেছে। এতদিন নন্দীগ্রামকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছে। সবটাই পুরো শূন্য কলসি প্রমাণ হয়ে গেল। বিরোধী দলনেতার ক্যারিশমা যে পুরো তলানিতে সেটার ফলই হল ১২–০।’
এই বিষয়ে খুশির হাওয়া সুকান্ত শিবিরেও। শুভেন্দু তাঁকে পছন্দ করে না বলেই তাঁকে এড়িয়ে হাজরা মোড়ের সভা ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল। তা নিয়ে আরএসএসের রোষের মুখে পড়ে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার এমন ফল নিয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সুকান্ত মজুমদারের অনুগামী এক বিধায়ক বলেন, ‘নিজের ঘর সামলাতে পারে না আবার সুকান্তদার চেয়ার দখল করার চেষ্টা করছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই ফলাফল নন্দীগ্রামে প্রভাব ফেলবে। জেলার নিচুতলায় রাম–বাম জোট যথেষ্ট ক্ষতি করছে। এসব করেও তো নন্দীগ্রামে হার আটকাতে পারল না।’