বারবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনা নিয়ে সরব রাজ্য সরকার। পাওনা আদায় করতে রাজ্যের শাসক ও বিরোধীদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ের পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো রাজ্যের বকেয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করার কথা সর্বদলের প্রতিনিধিদের। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী ও পরিষদীয় মন্ত্রীর এই প্রস্তাবে সহমত হয়েছিলেন বিরোধী বিজেপির বিধায়করাও। এ নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়। পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁর তরফে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। দীর্ঘ সময় পরও তাঁর তরফে কোনও সাড়া না মেলায় পরিষদীয় মন্ত্রী স্পিকারের কাছে এ নিয়ে নালিশ করেন। ক্ষুব্ধ স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘বিধানসভার ভিতরে এ ব্যাপারে সর্বদলের যাওয়া নিয়ে সহমত হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তারপরেও কেন এটা হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখব।’
পরিষদীয় মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, তৃণমূলের ৭ প্রতিনিধি ও বিজেপির ৫ প্রতিনিধি দিল্লীর দ্বারস্থ হবে। বিধানসভায় বিরোধী অর্থাৎ বিজেপি বিধায়করা স্বাগত জানিয়েছিলেন এই প্রস্তাবকে। জানিয়েছিলেন, রাজ্যের দাবি আদায়ের জন্য দিল্লী যেতে রাজি তাঁরা। তবে বিরোধী দলনেতা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। এরপর পরিষদীয় দলনেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় চিঠি লেখেন শুভেন্দু অধিকারীকে। জানতে চান, দিল্লীতে বিজেপির কে কে যেতে চান। সেই তালিকা পেলে পরিকল্পনা করতে সুবিধা হবে জানিয়েছিলেন শোভনদেব। কিন্তু বিরোধী দলনেতার তরফে কোনও সাড়া মেলেনি। ফলে বকেয়া আদায়ে দিল্লিতে সর্বদল পাঠানো বিলম্বিত হচ্ছে বলে স্পিকারের কাছে নালিশ জানান পরিষদীয় মন্ত্রী। তাতে স্পিকার ক্ষোভপ্রকাশ করে প্রশ্ন তোলেন, তখন রাজি হয়ে এখন কেন উদাসীনতা দেখাচ্ছে বিজেপি? বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। শোভনদেব বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীকে ফোন করে পাচ্ছি না। যতবারই ফোন করি, ফোন পাই না।’
![রাজ্যের বকেয়া আদায়ে দিল্লীতে সর্বদলের যাওয়া নিয়ে উদাসীন শুভেন্দু! - ক্ষুব্ধ স্পিকার বিমান](https://ekhonkhobor.com/wp-content/uploads/2022/12/WhatsApp-Image-2022-12-22-at-4.19.36-PM-2.jpeg)