ইতিমধ্যেই সরগরম রাজনৈতিক আবহ। আগামী বছরের শুরুতেই বিধানসভা নির্বাচন কর্ণাটকে। তার আগেই ফের বিতর্কের মুখে বিজেপিশাসিত এই রাজ্য। কর্ণাটকে নানান ভাবে হিন্দুত্ববাদের তাস খেলতে শুরু করে দিয়েছে পদ্মশিবির। বহুদিন ধরেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের উপাস্য বীর সাভারকারকে নিয়ে দক্ষিণের এই রাজ্যে নতুন উন্মাদনা সৃষ্টি করতে চাইছে বিজেপি। দু’দিন আগে কর্ণাটক বিধানসভায় সাভারকারের একটি প্রতিকৃতি রাখা নিয়ে ব্যাপক রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়। প্রসঙ্গত, কর্ণাটক বিধানসভার অন্দরে সাভারকারের একটি প্রতিকৃতি রাখা হয়েছে। আর সেই ছবি নিয়েই শীতকালীন অধিবেশনে শুরু হয় কংগ্রেস-বিজেপি বাদানুবাদ। কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলির প্রতিবাদ উপেক্ষা করেই মহাত্মা গান্ধী, সুভাষচন্দ্র বসু, বিবেকানন্দ, বিআর আম্বেদকরের ছবির পাশেই সাভারকারের প্রতিকৃতি রেখেছে কর্ণাটকের বিজেপি সরকার। এবার রাজ্যের সব স্কুলে হিন্দু নায়ক বীর সাভারকারের ছবি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের সংস্কৃতি মন্ত্রী ভি সুনীল কুমার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। যা ঘিরে তুঙ্গে পৌঁছেছে তোলপাড়।
স্বাভাবিকভাবেই কর্ণাটক সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তুমুল বিতর্কের সূত্রপা হয়েছে ওই রাজ্যে। সাভারকার কতটা স্বাধীনতা সংগ্রামী, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। সম্প্রতি এই বিতর্ককে উস্কে দেন রাহুল গান্ধী। ভারত জোড়ো যাত্রায় মহারাষ্ট্রে থাকাকালে রাহুল অভিযোগ করেন, সাভারকার ছিলেন ব্রিটিশের অনুগত। আন্দামান জেল থেকে মুক্তি পেতে তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়ায় ব্রিটিশ সরকারের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। রাহুল সাভারকারের লেখা সেই চিঠির প্রতিলিপিও প্রকাশ করেন। পাশাপাশি কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে, বিধানসভা ভবনে কী করে গান্ধী, সুভাষ, বিবেকানন্দের পাশে সাভারকারের ছবি স্থান পেতে পারে? বিরোধী দলনেতা সিদ্ধারামাইয়া প্রশ্ন তুলেছেন, নেহেরুর ছবি নেই কেন? “আজ সাভারকারের ছবি টাঙানো হল, কাল গান্ধীর পাশে তাঁর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের ছবি টাঙানো হবে”, কটাক্ষ সিদ্ধারামাইয়ার।