বৃহস্পতিবারই প্রকাশিত হয়েছে গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল। গুজরাটে নিজেদের কর্তৃত্ব বহাল রাখলেও হিমাচল প্রদেশে পরাজয় স্বীকার করতে হয়েছে বিজেপিকে। এই ফল নিয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানাল তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের দাবি, গুজরাটের ভোটের ফল আরও একবার জাতীয় স্তরে বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের ব্যর্থতাকে প্রমাণ করল। তৃণমূল মনে করছে, জাতীয় স্তরে বিকল্প নেতৃত্বের প্রয়োজন। আর তা দিতে পারেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গুজরাটে ১৫৬টি আসন পেয়েছেন মোদী-শাহরা। কংগ্রেস নামতে নামতে কুড়িরও নিচে নেমে গিয়েছে। আগেরবার যেখানে ৪১ শতাংশ ভোট পেয়েছিল কংগ্রেস, সেখানে এবার তাঁদের সংগ্রহ মোটে সাড়ে ২৭ শতাংশ। হিমাচলে কোনওক্রমে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করলেও গুজরাটের হার একপ্রকার ম্লান করে দিয়েছে কংগ্রেসের সেই সাফল্যকে।
এপ্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলছেন, “কংগ্রেসের আত্মসমালোচনা বিশেষ প্রয়োজন। হিমাচলে যেটুকু করেছে, গুজরাটে তা কেন পারল না? কেন গুজরাটে টক্কর দিয়ে লড়াই করা গেল না? কিছু বলতে গেলে গায়ে লেগে যাবে। ভারত জোড়ো যাত্রা করছে, অথচ গুজরাট জুড়তে পারল না। কী করে হবে?” এর আগে গোয়া, মেঘালয়, ত্রিপুরার মতো রাজ্যে গিয়ে কংগ্রেসের ভোটে ভাগ বসানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যার জবাব দিয়ে কুণাল এদিন বলে দেন, “গুজরাটে তো বিজেপির সঙ্গে মূল লড়াই ছিল কংগ্রেসের! সেখানে করে দেখানোর জায়গা ছিল। মোদির রাজ্যে কীভাবে জয়রথ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, ফাঁকা মাঠ পড়ে ছিল! যারা গুজরাতে ব্যর্থ, তারা একক সিদ্ধান্তে, দিল্লির লোকসভা সামলাতে পারবে?” পাশাপাশি কুণালের সাফ কথা, “তৃতীয় বিকল্প বা অবিজেপি বিকল্পের ক্ষেত্রে, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল শক্তির ক্ষেত্রে, তৃণমূলের প্রাসঙ্গিকতা এবং প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব আজকের ফলে আবারও প্রমাণিত হল।” নরেন্দ্র মোদীর বিকল্প মুখ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র।