বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল। গুজরাটে নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে সমর্থ হলেও হিমাচল প্রদেশে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে গেরুয়াশিবির। আজ সে রাজ্যে বিজেপির হারের পরেই কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীদের একাংশ অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তুলেছেন। সামাজিক মাধ্যমেও তাঁকে নিশানা করা হয়েছে। অক্টোবরে বিজেপির তরফে হিমাচল প্রদেশের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই প্রকাশ্যে অশ্রুসজল হয়েছিলেন অনুরাগ। সেই সঙ্গে রাজ্যের উন্নয়নে তাঁর বাবা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রেমকুমার ধুমলের অবদানের কথাও বলেছিলেন। ঘটনাচক্রে, বিজেপির সেই প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই হয়নি প্রবীণ প্রেমকুমারের। বাবার উপর দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের এহেন আচরণ মানতে পারেননি অনুরাগ, এমন গুঞ্জনই ঘোরাফেরা করছিল রাজনৈতিক মহলে।
উল্লেখ্য, এবার হিমাচলে ভোটের প্রচারেও তেমন ভাবে দেখা যায়নি বিজেপি যুব মোর্চার প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অনুরাগকে। রাজ্যের ৬৮ আসনের অন্তত ২১টিতে বিজেপির টিকিট না পাওয়া বিদ্রোহী প্রার্থীরা লড়াইয়ে ছিলেন। তাঁদের অনেকেই ধুমল পরিবারের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেও অভিযোগ উঠেছিল। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ভোটের ফলে দেখা যাচ্ছে, প্রেমকুমার-অনুরাগের জেলা হামিরপুরের ৫টি আসনের মধ্যে সব ক’টিতেই হারের মুখ দেখেছে পদ্মশিবির। অনুরাগ ঘনিষ্ঠদের অভিযোগ, নড্ডার ব্যক্তিগত আপত্তিতেই নাকি এ বার বয়সের অজুহাতে সরানো হয়েছিল প্রেমকুমারকে। ১৯৯৮-২০০৩ এবং ২০০৭-২০১২, দু’দফায় হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ২০১৭-য় তাঁকে সামনে রেখেই ভোটে লড়তে নেমেছিল বিজেপি। ৫ বছর পরে শিমলার কুর্সি ফিরে পেলেও হামিরপুর বিধানসভা কেন্দ্রে যান স্বয়ং প্রেমকুমার। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেছিলেন জয়রাম ঠাকুর। সে সময় নড্ডার বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তুলেছিলেন অনুরাগ অনুগামীরা। অভিযোগের সেই তিরের অভিমুখ এবার ঘুরে গিয়েছে পুরোপুরিই। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা বাড়ছে পদ্মশিবিরের অন্দরমহলে।