সোমবার দুপুরেই দিল্লি উড়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাষ্ট্রপতি ভবনে জি-২০ শীর্ষক এক সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন তিনি। এর পর আজ মঙ্গলবার দিল্লি থেকে ব্যক্তিগত সফরে আসছেন রাজস্থানের আজমের ও পুষ্করে।বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজস্থান সফরকে ঘিরে আঁটসাট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে অশোক গেহলট সরকার।
রাজস্থান সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী আজ আজমের শরিফ ও পুষ্কর আসছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই সফরের জন্য বিশেষ রুট তৈরি করেছে গেহলট প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রীর যাত্রাপথের পুরোটাই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে রাজস্থান পুলিশের বিশেষ টিম। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার বিষয়টি তদারকি করতে কলকাতা থেকে পুষ্করে পৌঁছে গিয়েছেন ৫ আধিকারিক। স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করে নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখে নেবেন তাঁরা। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী আজমের শরিফ ও পুষ্কর দু’জায়গাতেই যাবেন তিনি।
আজমের শরিফে খোয়াজা মইনুদ্দিন চিস্তির দরগায় গত প্রায় ৮০০ বছর ধরে চাদর চড়ান হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে বিপুল সংখ্যক মানুষ। সেই সুফি ভাবাবেগকে গুরুত্ব দিয়ে আজমের শরিফের দরগায় রাজনীতিকরাও বিভিন্ন সময়ে চাদর চড়িয়েছেন। বিশেষ করে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধির নামে সেখানে প্রতি বছরই চাদর চড়ানো হয়। এ বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আজ পৌঁছবেন সেখানে।
আজমের শরিফের অনতিদূরেই পুষ্কর। বলা হয়, সারা পৃথিবীতে একমাত্র পুষ্করেই রয়েছে ব্রহ্মার মন্দির। পুষ্করের হ্রদের সামনে গিয়েও প্রার্থনা করেন পুণ্যার্থীরা। আজমের থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুষ্করেও আসবেন।মুখ্যমন্ত্রীর ব্রহ্মামন্দির দর্শনের সময় তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মন্দির চত্বর দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।