জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বছরভরের কর্মসূচিতে যেন দলমত নির্বিশেষে দেশকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে জি-২০ সংক্রান্ত বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিরোধীদের বললেন এ কথাই।
তিন দিনের দিল্লি সফরে সোমবার বিকেলে রাজধানী পৌঁছেছেন তৃণমূল নেত্রী। তার পরই চলে গিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ভবনে বৈঠকে যোগ দিতে। পরে সাংবাদিকদের কাছে মুখ খোলেননি। তবে রাজনৈতিক সূত্রের খবর, তিনি বৈঠকে জানিয়েছেন ভারত জি-২০-র সভাপতিত্ব করছে এটা খুবই সুখবর। এই সুযোগকে যথাসম্ভব কাজে লাগাতে হবে। সবাইকে একসঙ্গে মিলে কাজ করতে হবে।
এরপরেই তিনি বলেন, জি-২০-র কর্মসূচি যেন দেশের স্বার্থ বহন করে, কোনও দলের নয়। তিনি বহুদলীয় প্রতিনিধি দলের বিভিন্ন সময়ে বিদেশ সফরের অতীতের স্মৃতিচারণ করেছেন বলেও খবর। জানিয়েছেন, বিদেশনীতির প্রশ্নে সব দলের এক হওয়াটাই কাম্য। উদাহরণ হিসেবে, বৈঠকে উপস্থিত সিপিআই নেতা ডি রাজাকে দেখিয়ে মমতা বলেছেন এক বার তিনি এবং রাজা একই প্রতি্নিধি দলে ভিয়েতনামে গিয়েছিলেন।
অবিজেপি ৬ জন মুখ্যমন্ত্রী এবং ৫ জন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আজ বক্তব্য পেশ করেছেন বৈঠকে। সার্বিক ভাবে জি-২০-তে পাশে থাকার আশ্বাস দিলেও কংগ্রেস এবং সিপিএম-র নেতাদের কন্ঠে কিছুটা সমালোচনার স্বর শোনা গিয়েছে। উপস্থিত কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ২০টি রাষ্ট্রই সভাপতিত্বের সুযোগ পায়। এটি কোনও দেশের বিশেষ সরকারের বা রাষ্ট্রনেতার বা ব্যক্তির সাফল্য নয়। ইন্দিরা গান্ধীর সময়ে ভারত জোট নিরপেক্ষ দেশগুলির গোষ্ঠীর (ন্যাম) সভাপতি হয়েছিল। একইসঙ্গে তিনি বলেন আমেরিকার ভিসা পেতে তো ৬ মাস লেগে যাচ্ছে। এর কূটনৈতিক সুরাহা করা হোক। সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির বক্তব্য, ধনী দেশগুলিই জি-২০-র সুবিধে নেওয়ার চেষ্টা করে গিয়েছে, উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের ঘাড়ে বোঝা চেপেছে।